সৈকত মনি, এটিভি সংবাদ
আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। দিনটি উপলক্ষে সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৬ মিনিটে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনগুলো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে তত্কালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার। মুজিবনগর সরকার হিসেবেই এর পরিচিতি বেশি। সেদিন গ্রামবাসী, কিছু সংখ্যক নবনির্বাচিত পরিষদ সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রথমে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অভিবাদন গ্রহণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে জাতীয় সংগীত। আওয়ামী লীগের চিফ হুইপ দিনাজপুরের অধ্যাপক ইউসুফ আলী স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ শেষ করলে মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে বাতাস। যাত্রা শুরু করে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’।
এর আগে ১০ এপ্রিল তাজউদ্দীন আহমদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ গঠনের কথা বলা হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে শপথগ্রহণ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় পত্রপত্রিকা ও বেতার ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদপত্রে, বেতারে এই সংবাদ প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।