সিলেট ব্যুরো, এটিভি সংবাদ
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল মহানগরের পশ্চিম সুবিদবাজারস্থ আনন্দ নিকেতন স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। তবে ভোট দিতে এসে তিনি সাংবাদিকদের কাছে নানা অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা এক পক্ষের পকেটে। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং অফিসার সবই নৌকার পকেটে।
নজরুল ইসলাম বাবুল সাংবাদিকদের বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে নগরবাসীকে জানাতে চাই, আমি আনন্দ নিকেতনে ভোট দিতে এসে দেখলাম এখানে পেশিশক্তির জোর দেখানো হচ্ছে। গলায় কার্ড ঝুলিয়ে যারা কোনো পোলিং এজেন্ট না, তারা আমাদের ভোটারদেরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে, হয়রানি করছে। অনেক কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
সিলেটে নির্বাচনে এভাবে যদি পেশি শক্তি ব্যবহার করা হয় তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সুযোগ নাই, কোনো পরিবেশই নেই।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ভোট দেন। এ সময় তার সাথে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ছিলেন।
নজরুল ইসলাম বাবুল আরও বলেন, ওরা একটা নীল নকশা করেছে কীভাবে ভোট কারচুপি করবে। ৪২টা ওয়ার্ডের সবগুলো কেন্দ্রে আমি আমার পোলিং এজেন্ট দিয়েছি, কিন্তু সকাল থেকে ফোন পাচ্ছি বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জোর করে বের করে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, মেঘলা আকাশের মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলছে সিলেটে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৪২ নির্বাহী ও ১৪ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। ১০ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৭ হাজার সদস্যকে মাঠে রয়েছে। ১৯০ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দায়িত্ব পালন করছেন সাড়ে ৪ হাজারেরও অধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।
এবার মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টি- এই তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীসহ মোট ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। তবে বরিশাল সিটি নির্বাচনের দিন ভোট থেকে সরে দাঁড়ান ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।