শুরুতেই বিষয়টি মেনশন করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। আদালতে তিনি বলেন, মামলা কার্যতালিকার মধ্যেই ৪ আগস্ট জামায়াত সমাবেশ করলে আদালত অবমাননা হবে। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, আদালত অবমাননার আবেদন আনুন। পরে আদালত শুনানির এই দিন ধার্য করেন।
নিবন্ধন নিয়ে মামলা চলাকালে জামায়াতে ইসলামী যাতে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে না পারে সে জন্য নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
গত ২৬ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে তরিকত ফেডারেশনের মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর পক্ষে এ আবেদন করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
এছাড়া আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সমাবেশ করে রেজিস্ট্রেশন দাবি করায় আদালত অবমাননারও অভিযোগ আনা হয়েছে দলটির বিরুদ্ধে। রেজাউল হক চাঁদপুরীর হয়ে এ অভিযোগও দাখিল করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দলটিকে নিষিদ্ধেরও দাবি আছে বিভিন্ন মহলের। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিচার ও দণ্ড কার্যকর করাসহ সার্বিক প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর স্বাভাবিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।
জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে সবশেষ ঢাকার মতিঝিলে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তারা বিক্ষোভ মিছিল করেছিল। সে হিসেবে ১০ বছরের বেশি সময় পর গত ১০ জুন রাজধানীতে সমাবেশ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা।