বিনোদন ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
২০০ কোটি টাকার আর্থিক ঘুসের মামলায় সুকেশ চন্দ্র শেখরের সঙ্গে নাম জড়িয়েছেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। মামলাটিতে অন্তর্বতী জামিনে ছাড়া পেলেও ঘন ঘন আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে শ্রীলংকার এই সুন্দরীকে।
তবে এ ঘটনায় নোরা ফাতেহিও জড়িত বলে অভিযোগ জ্যাকলিনের। আর এতেই জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে দিল্লির আদালতে মানহানির মামলা করেছেন নোরা।
নোরার দাবি- জ্যাকলিন নিজে দুর্নীতিতে জড়িয়ে ক্যারিয়ার নষ্ট করছে, কিন্তু আমাকে এই নোংরামির মধ্যে জড়াচ্ছে কেন?
সোমবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০ কোটি টাকা আর্থিক ঘুসের ঘটনায় কয়েক মাস আগে জ্যাকলিনের সঙ্গে নোরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
কনম্যান সুকেশ চন্দ্র শেখর মূল সন্দেহভাজন হলেও তার সঙ্গে যোগসাজশ থাকার কারণে এই দুই অভিনেত্রীকেই তলব করা হয়। তবে বেশি বেকায়দায় পড়েন জ্যাকলিন। কারণ সুকেশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বেশ কিছু অবৈধ সম্পত্তি উপহার হিসেবে পান জ্যাকলিন। এতে ফেঁসে যান অভিনেত্রী।
সম্প্রতি আইনজীবী মারফত প্রকাশ্যে আসে জ্যাকলিনের এক বয়ান। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, সুকেশের থেকে অনেক তারকাই উপহার নিয়েছেন। তাদের মধ্যে নোরা ফাতেহিও আছেন। শুধু একাই তাকে কেন দোষারোপ করা হচ্ছে?
আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নোরা। নায়িকার দাবি, জ্যাকলিনের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। সুকেশের সঙ্গে তার কোনো লেনদেন ছিল না। উপহারও নেননি। অকারণে তাকে হেনস্তা করতে চাইছেন জ্যাকলিন।
নোরা আরও বলেন, জ্যাকলিন নিজে দুর্নীতিতে জড়িয়ে ক্যারিয়ার নষ্ট করছে। সেটা অবশ্য ওর কাছের মানুষের জন্যই করছে। দুজনেই একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে। একই অতীত। যা করছে, ঠিক আছে; কিন্তু আমাকে এই নোংরামির মধ্যে জড়ানো হচ্ছে কেন?
সেই সঙ্গে নিজেকে এ মামলা থেকে মুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
এদিকে আর্থিক ঘুসের এ মামলায় সোমবার সকালে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। আইনজীবী জানান, এখনো পর্যন্ত ইডির তরফে সম্পূর্ণ চার্জশিট জ্যাকলিনের হাতে এসে পৌঁছায়নি। বিচারপতি আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।