বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামের পটিয়ায় টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। উপজেলার ১৭টি উপজেলায় ও ১টি পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের খেত, ভেসে গেছে মাছের ঘের। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের খানাখন্দে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, রবিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্বের চব্বিশ ঘণ্টায় ৩০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
এছাড়াও পটিয়া পৌর শহরের গোবিন্দরখীল, মাঝেরঘাটা, পোস্ট অফিস মোড়, সেয়ান পাড়া, পাইকপাড়া, কাগজীপাড়া, সুচক্রদন্ডী, বাহুলীসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের আশিয়া, কাশিয়াইশ, জিরি, হাবিলাসদ্বীপ, কুসুমপুরা, ছনহরা, ভাটিখাইন, কচুয়াই, খরনা, কেলিশহর, ধলঘাট, জঙ্গল খাইন, বড়লিয়া, শোভনদন্ডী এলাকার সড়কে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গত তিন দিনের বেশি অব্যাহত ভারী বর্ষণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সাধারণ জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে পুরো পটিয়া জুড়ে।
এদিকে, উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকা জিরি, হাবিলাসদ্বীপ, কোলাগাঁও, কাশিয়াইশ ও আশিয়া ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকায় তলিয়ে যাওয়া সড়কে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।অপরদিকে, অতিবৃষ্টিতে উপজেলার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি আর সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে একাকার হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বড়লিয়া ইউনিয়নের বাদশা বলেন, ঘরের সামনে কোমর সমান পানি। ঘর থেকে বের হওয়াই আমাদের জন্য দুষ্কর হয়ে পড়েছে। রান্না করতে কষ্ট হচ্ছে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুল মামুন বলেন, আমরা খোঁজ নিচ্ছি। টানা বর্ষণের ফলে উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট হচ্ছে আমরা তাদের যথাসাধ্য সহায়তা করব।