সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে ডিপজল নিপুণকে নিয়ে আবারও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। অভিনেতার ভাষায়,
নিপুণকে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এনে ভুল করেছিলাম আমি। এখন থেকে তাকে আমি চিনি না। আমার মনে হয়, নিপুণকে এখানে নিয়ে আসা আমার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এই টাইপের মেয়ে এখানে আনা ঠিক না বলে আমি মনে করি।
শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, দুই দুই বার সহ সভাপতি পদে ছিলাম। আমার নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছে ছিল না। অনেকটা জোরাজুরি করেই নির্বাচনে অংশ নিই। কিন্তু এবার ইচ্ছা করেই নির্বাচনে এসেছি। কারণ গতবার অনেক অনিয়ম দেখেছি। তাই এবার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করি।
এরপরই নিপুণের ব্যবসা নিয়ে মন্তব্য করেন অভিনেতা। প্রশ্ন তোলেন অভিনেত্রীর ব্যবসা নিয়ে। ডিপজল বলেন,আমি শুধু সিনেমায় অভিনয় করে টাকা উপার্জন করি না। আমার অনেক ব্যবসা রয়েছে। তেমনি নিপুনের শুধু অভিনয় করেই টাকা উপার্জন করছে না। অভিনয়ের পাশাপাশি নিপুণের মূল ব্যবসাটা কী?
ডিপজল আরও বলেন, শুনলাম নিপুণ পার্লার দিয়েছে। কী পার্লার ওইটা? কী হয় সেখানে? তা কি কেউ জানেন?
এরপর নিপুণের পার্লারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আফসোস ভরা কন্ঠে ডিপজল বলেন, ওই পার্লারে গিয়ে দেখেন ওইটা কী পার্লার? সেখানে কী হচ্ছে? ওই খবর তো কেউ রাখেন না!
নিপুণ ও ডিপজলের রেষারেষি শুরু হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৯ এপ্রিল। ২০ এপ্রিল সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। এ ফলাফল ঘোষণায় সম্পাদক পদে ২২৫ ভোট পাওয়া ডিপজলের কাছে নিপুণ আক্তার ২০৯ ভোট পেয়ে হেরে যান।
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের এক মাস পেরোতেই (১৫ মে) আদালতে ডিপজলের বিরুদ্ধে রিট করেন। এরপর ২০ মে হাইকোর্ট ডিপজলের দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ দেন। দায়িত্ব পালনে আইনি বাধা কাটাতে রোববার (২৬ মে) চেম্বার আদালতে আবেদন জানান ডিপজল। তার একদিন পরই শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব ফিরে পান ডিপজল।