৫২ সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাস্তা দিয়ে সাদা টি-শার্ট পরা এক যুবক হেঁটে আসছেন। হঠাৎ তার সামনে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন রুবেল। আর দেশীয় অস্ত্র হাতে দুই যুবক তাকে ধাওয়া করছেন। দৌড়াতে দৌড়াতে কোপ দিলে রাস্তায় পড়ে যান রুবেল। এরপর তাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন এক যুবক। তাদের পিছু পিছু আরও এক যুবককে দৌড়ে আসতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ কোপানোর পর দুর্বৃত্তরা চলে যায়। এরপর রুবেল রক্তাক্ত শরীর নিয়ে বার বার উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
হাসপাতালে তার ভগ্নিপতি মো. মামুন আহমেদ সিদ্দিকী জানান, রাতে রাজারবাগ এলাকা থেকে জোয়ারদার লেনে নিজের ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন রুবেল। পথে বাসার অদূরে ৪-৫ জন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে পঙ্গু হাসপাতাল এবং সবশেষ ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মাথায়, ডান হাতে, কাঁধ, ডান পাসহ সারা শরীরেই ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে। বাম পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।
মামুন আরও জানান, রুবেল শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক দফতর সম্পাদক ছিলেন। তবে বর্তমানে যুবলীগের রাজনীতি করতেন। কিন্তু কোনো পদে ছিলেন না। স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে জোয়ারদার লেনের ১৫৩/এ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি। তার বাবার নাম শেখ নবী উল্লাহ খোকন। শান্তিবাগে তাদের নিজেদের বাড়ি রয়েছে। এলাকাতে তার ইন্টারনেটের ব্যবসা রয়েছে। এ ছাড়া তেজগাঁও থেকে ডিম এনে শান্তিনগর, সিদ্ধেরশ্বরী এলাকায় বিক্রি করতেন। তার স্ত্রী তানজিনা দেওয়ান কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগে সদস্য।