রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার করোনার মতো ডেঙ্গু চিকিৎসাও বিনামূল্যে দিচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ৭০ শতাংশ রোগী দেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। বাকিরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছে। সাধারণত দুই ধরনের ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। অনেকের প্লাটিলেট ও আইসিইউ প্রয়োজন হয়। আবার অনেকে শুধু ওষুধেই সুস্থ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৪ জন, তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৪১১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৫৩৭ জনের। এছাড়া এখনো হাসপাতালে ভর্তি ৮ হাজার ২৩৬ জন। দেশের মোট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ রোগী ৬৫ শতাংশ। ডেঙ্গুতে মৃত্যু রোগীর ৬৫ শতাংশ নারী আর ৩৫ শতাংশ পুরুষ।
জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকায় অর্ধেক, বাইরে বাকি রোগী। ঢাকায় রোগী নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অর্ধেক রোগ কমাতে পারব।
এডিস মশার ওপর গবেষণা করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশে যেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সেদিকগুলো লক্ষ্য করে আমাদের কাজ করতে হবে। যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো মাঝে মাঝে পরীক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, স্প্রে এখন সারা বছর করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে হবে। নিজ নিজ জায়গার পাশাপাশি সিটি করপোরেশনকে বিশেষভাবে কাজ করতে হবে।