atv sangbad

Blog Post

ডোমারে সরিষার বাম্পার ফলন, খুশি কৃষক

আরিফুল ইসলাম, রংপুর, এটিভি সংবাদ

নীলফামারীর ডোমারে সরিষা চাষের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি কৃষক, মাঠ পরিদর্শন করে কৃষকদের সাথে নিয়ে মতবিনিময় ও পরামর্শ প্রদান করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা হরিণচড়া ইউনিয়নের হংসরাজ ব্লকে একই জায়গায় ৩শত বিঘা জমিতে সরিষা আবাদব হয়েছে। গ্রামে কৃষকদের সরিষা চাষ দেখে মুগ্ধ হন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদুল হক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব হাসানসহ প্রান্তিক কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় মাঠ জুড়ে সরিষার ফুলের সমরোহ। যেদিকে চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। মৌমাছিদের গুনগুন শব্দ এবং প্রজাপতিদের আনাগোনায় মুখরিত সরিষার মাঠগুলো। চাষিরা জানান, আমন ধান কাটার পর জমি কয়েক মাসের জন্য পরিত্যক্ত থাকে ওই জমিতে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা চাষ লাভবান। ইতোমধ্যে ক্ষেতে সরিষার দানা বাঁধতে শুরু করেছে। আবার কোথাও ফুল ফুটেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম ও দাম ভালো পাওয়ায় সরিষা চাষে কৃষক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আবহাওয়া সরিষা চাষের উপযোগী হওয়ায় গত বছরের মতো এবারও সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বারী-১৪ জাতের বীজ জেলায় এবছর ৮ হাজার ৬শত ৭২ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। সেখান থেকে ১২ হাজার ১শত ৭৭ মেঃটন সরিষা উৎপাদন হবে। গত বছর ৩৮লক্ষ মেঃটন  তেল উৎপাদন করেছি।

এবার আশা করছি প্রায় ৪৫ লক্ষ মেঃটন তেল উৎপাদন হবে। তার মধ্যে ১০ হাজার কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে গত বছর ৭শত ৪০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছিল। এবার লক্ষমাত্রা ৯শত ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে ৯শত ৬৫ হেক্টর। প্রণোদনার আওতায় ১ হজার ৮শত জন কৃষককে  বীজ ও সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এটি কৃষি ক্ষেত্রে সরকারের আরও একটি সাফল্য। উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা কৃষকরা চাষ করেছে। আমরা কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও সরিষার বীজ বিতরণ সহ মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

কৃষক বনোমালী রায় ও হাসান আলী জানান, গত বছর তাদের ৯ বিঘা কৃষি জমি পতিত ছিল। কিন্তু এ বছর তারা স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ওই জমিতে বারি-১৪ জাত আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তারা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :