নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি। ওষুধ প্রশাসনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ড্রাগ লাইসেন্স, কেমিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ছাড়াই চলছে এ সব ফার্মেসি। এ সব ফার্মেসি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক, ঘুমের ট্যাবলেট, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, নিষিদ্ধ ভারতীয় নকল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের নানা ধরনের ওষুধ বিক্রি করছে অবাধে। এতে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে আরও জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন রোগীরা। ফলে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন অনেক রোগী ও তাদের পরিবার-পরিজন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে মালিক ও কর্মচারীই ডাক্তারি করছে। ফলে প্রতিনিয়ত অপচিকিত্সার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আবার লাইসেন্সবিহীন এলোপ্যাথিক ওষুধের পাশাপাশি আয়ুর্বেদী ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ফার্মেসি খুলে বসেছে অনেকে।
উপজেলার পৌর শহর ও বিভিন্ন ইউনিয়নের ফার্মেসিগুলোতে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, তারা ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার আগে অন্যের ফার্মেসিতে কাজ করেছেন কিছুদিন। সেখান থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিজেই আরম্ভ করেছেন ফার্মেসি ব্যবসা। অভিযোগ আছে, এসব ফার্মেসিতে অধিকাংশই ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্রের বাইরে ওষুধ সরবরাহ দিয়ে থাকেন। সাধারণ মানুষের ওষুধের মূল্য সম্পর্কে ধারণা না থাকায় পাঁচ টাকার ওষুধ ২০-৩০ টাকায় বিক্রি করছেন।
রায়পুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ঢালী বলেন, উপজেলায় ফার্মেসি রয়েছে দুই শতাধিক। তবে পৌর শহরের আট থেকে ১০টি ফার্মেসি ছাড়া অধিকাংশ ফার্মেসিতে নেই কোনো প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট। ফলে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে রোগীরা। এতে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে অনেক রোগী। অনেকে ডাক্তার না হয়েও গ্রামের সহজ সরল লোকদের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবার নামে ব্যবস্থাপত্র লিখে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। ঐসব হাতুড়ে ডাক্তার আবার বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী পাঠিয়ে কমিশনের নামে নিচ্ছে মাসোহারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খান জানান, যারা ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Copyright © 2023 Atv Sangbad (A Concern of Aparadh Anusondhan Ltd) All rights reserved