নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেশি-বিদেশি ব্যক্তির খোলা চিঠিকে বেআইনি ও অযৌক্তিক দাবি করেছেন ১৪ দলের নেতারা।
বুধবার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জোটটির নেতারা চিঠিকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হুমকি বলে অভিহিত করেন। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে ১৪ দলের নেতারা বলেন, ফৌজদারি আইন দেশের সবার জন্য প্রযোজ্য। নোবেল পুরস্কার পেলেই কেউ আইন-আদালতের ঊর্ধ্বে নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং সেসব দেশের আইন অনুযায়ী বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী ড. ইউনূস আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার ভোগ করছেন, আইনজীবী নিয়োগ করে জামিন নিয়েছেন। এ মামলার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগসূত্র নেই।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন দ্বারা সব ধরনের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিচারিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার এ অপতৎপরতা পবিত্র সংবিধান ও আইনের পরিপন্থি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আইনের আশ্রয় নেয়ার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সেই অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করে চলমান বিচারিক কার্যক্রম বন্ধের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। স্বেচ্ছাচারিতাপূর্ণ এমন দাবি আদালত অবমাননার শামিল।
সর্বশেষ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, সংবিধান, আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত বা প্রভাব বিস্তার করে এমন বিবৃতি কিংবা তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান ১৪ দলের নেতারা।