নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ:
এপ্রিলে সারাদেশে তাপপ্রবাহ বিরাজ করে। গত মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কখনো তীব্র, কখনো প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ আঘাত হেনেছে। গত ৩০ এপ্রিল যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন২৯ এপ্রিল ঢাকায় বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কিন্তু মে মাসের শুরু থেকেই বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয় এবং তাপমাত্রা কমতে থাকে। গত রোববার শুধু রাজধানী নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও বৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঢাকাসহ সারাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমতে থাকবে। তাপমাত্রা কমতে থাকায় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গত শুক্রবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরের দিন শনিবার তাপমাত্রা নেমে আসে ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এরপর রোববার ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। রোববার পর্যন্ত ঢাকায় তাপপ্রবাহ ছিল, কিন্তু সোমবার রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। ওইদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একদিনে প্রায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রোববার চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম মঙ্গলবার দেশে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানান। এর ফলে তাপমাত্রাও কমতে পারে। যে এলাকায় এখনও মৃদু তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হচ্ছে সেগুলি আর নাও থাকতে পারে।
এর আগে এপ্রিলে দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ ছিল। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, গত ৭৬ বছরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি।