আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
দীর্ঘ ২৪ বছর পর উত্তর কোরিয়ায় সফরে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশটির পশ্চিমাবিরোধী প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাতের পেছনে মূলত তিনটি উদ্দেশ্য রয়েছে রুশ নেতার। এর মধ্যে প্রধান লক্ষ্য ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য উত্তর কোরিয়া থেকে আরও অস্ত্র পাওয়া। এছাড়া দুই দেশের বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সম্পর্ক গভীর করা। আর এই সবকটির মূলেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টা জোরদার করা। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের।
সবশেষ ২০০০ সালে পিয়ংইয়ং সফরে গিয়েছিলেন পুতিন। সে সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে প্রথমবার প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শুরু করেছিলেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মস্কো সফরে যান কিম। সে সময় কোরীয় নেতার সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের। সেই সফরেই পুতিনকে নিজ দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কিম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকালে তিনি পিয়ংইয়ং বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। স্বাগত জানান উত্তর কোরীয় নেতা নিজেই।
এই সফরকে ক্রেমলিন ‘বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সফর’ বলে উল্লেখ করেছে। দাবি করা হয়, এই সফরে পর্যটন, শিক্ষা এবং সংস্কৃতিতে সহযোগিতা প্রসারিত করার বিষয়ে আলোচনা হবে। সফরের আগে, ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধকে ‘দৃঢ়ভাবে সমর্থন’ দেওয়ার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের প্রশংসা করেন পুতিন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সামনের সারির জন্য উত্তর কোরিয়া থেকে গোলাবারুদ, নির্মাণশ্রমিক ও স্বেচ্ছাসেবক সেনা চাইবেন পুতিন। গত সপ্তাহে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিন ওন-সিক ব্লুমবার্গকে বলেন, গত কয়েক মাসে রাশিয়ায় অন্তত ১০ হাজার শিপিং কনটেইনার পাঠিয়েছে তার দেশ। এতে সম্ভবত প্রায় ৪.৮ মিলিয়ন আর্টিলারি শেল রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, অস্ত্রের এই বড় চালানের বিনিময়ে পিয়ংইয়ং তার সামরিক বাহিনীর জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা চাইবে মস্কোর কাছে। বিশেষ করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে আরও উন্নত–সমৃদ্ধ করার জন্য। এর মাধ্যমে যাতে করে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে আরও বেশি সক্ষম হয় তার ক্ষেপণাস্ত্র।
Copyright © 2023 Atv Sangbad (A Concern of Aparadh Anusondhan Ltd) All rights reserved