ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের লিড দাঁড়ায় ৫২৮। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আর ব্যাটিংয়ে নামেনি স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। তাতে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫২৯ রানে।
এই রান তাড়া করতে নেমে কোন সুবিধাই করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। জেমিসন-স্যান্টনারদের বোলিং তোপে ২৪৭ রানে অল আউট হয়ে যায় সফরকারীরা। তাতে ২৮১ রানে প্রথম টেস্ট জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড। রানের হিসেবে টেস্টে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয় ৪২৩ রানে। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কাকে ৬৬০ রানের টার্গেট দিয়ে ২৩৬ রানেই অল আউট করেছিল নিউজিল্যান্ড।
মাউন্ট মঙ্গানু্ইয়ে টেস্টে ৬ অভিষিক্ত ক্রিকেটারকে নিয়ে সাজানো দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে এই ইনিংসেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। প্রোটিয়ারা দুই ইনিংস মিলিয়েও নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের সমান রানও করতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়ারা করেছে মাত্র ১৬২ রান। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ৫ রানেই ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর যোবায়ের হামজা ও রাইয়ার্ড ফন টন্ডারের ৬৩ রানের জুটিতে কিছুটা পথ সামনে হাঁটে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে কিউই পেসার কাইল জেমিসন তাদের বেশিদূর এগুতে দেননি। টন্ডারকে ৩১ রানে আর হামজাকে ৩৬ রানের মাথায় আউট করে দেন তিনি। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন কিগান প্যাটারনসন ও ডেভিড বেডিংহাম। ১৪৩ বলে ১০৫ রানের জুটি করেন তারা। যদিও জুটিতে প্রায় পুরো অবদানই বেডিংহামের। এই জুটিতে বেডিংহাম একাই করেছেন ৮৬ রান। আর ১৬ রান প্যাটারসনের।
কিউইদের বিপক্ষে মূলত লড়াইটা করেছেন বেডিংহাম। তিনিই দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ইনিংস মিলিয়ে একমাত্র ফিফটি করেছেন। ৯৬ বলে ৮৭ করে জেমিসনের তৃতীয় শিকার হন তিনি। ১৩ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ইনিংস সাজান বেডিংহাম। শেষ উইকেটে কিছুটা দ্রুতগতিতে রান তুলেন রুয়ান ডি সোয়ার্ট ও ডেন প্যাটারসন। ২৪ বলে ২৪ রানের জুটি করে দলীয় ইনিংস ২৪৭ রানে ঠেকান তারা। সোয়ার্ট করেছেন ৫৬ বলে ৩৬। আর ডেন করেছেন ১৭ বলে ১৫ রান।
কিউইদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন কাইল জেমিসন। আর মিচেল স্যান্টনার নিয়েছেন ৩ উইকেট। সাউদি, হেনরি ও ফিলিপস নিয়েছেন একটি করে উইকেট। প্রথম ইনিংসে ২৪০ রানের অনবদ্য ইনিংস ও ২ উইকেট নেয়ায় ম্যাচ সেরা হয়েছেন রাচিন রবীন্দ্র।