নিজস্ব প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, মিডিয়া বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) তার দেওয়া বক্তব্যকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে। দেশে সবার বাক-স্বাধীনতা রয়েছে। তাই সবাই সব কথা বলতে পারেন। তবে বক্তব্য অন্যভাবে উপস্থাপন করা হলে দুঃখ লাগে। তিনি মিডিয়াকে একটু সহনশীল হওয়ার অনুরোধ করেন।
শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষে গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জেএম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি— শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় আজ (১৯ আগস্ট) শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বক্তব্য তার ‘ব্যক্তিগত’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকিয়ে থাকা ও আসার জন্য ভারতকে কখনো অনুরোধ করেনি, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এটি কারো ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে।
সমালোচনার মুখে ড. মোমেন নিজেও আজ সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মিডিয়া বৃহস্পতিবার তার দেওয়া বক্তব্যকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে। আমি বলেছি, কিছ কিছু লোক সময় সময় অনেক উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে। আপনার দেশেও কিছু দুষ্টু লোক আছে, আমার দেশেও দুষ্টু লোক আছে। তারা তিলকে তাল করে। আপনার সরকারের একটা দায়িত্ব হবে এবং আমার সরকারেরও দায়িত্ব আছে যে তিলকে তাল করার সুযোগ সৃষ্টি না করে দেওয়া। আমরা যদি এটা করি তাহলে সম্প্রীতি থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের অস্থিরতা থাকবে না। আমি বলেছি, আমরা চাই শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা থাকুক। এই ব্যাপারে আপনারা সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।
শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমাদের দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে। অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুললে সবার মঙ্গল হবে। আর এদেশে যত নাগরিক আছে সে যে কোনো ধর্মের হোক সবার সমান অধিকার। সন্ত্রাস থাকলে সে দেশে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়, ভারতে সন্ত্রাস নেই বলেই সেখানে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।
শেখ হাসিনা যদি সরকারে থাকেন তাহলে দেশে স্থিতিশীলতা থাকে। আর স্থিতিশীলতা থাকলেই আমাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।