সৈকত মনি, এটিভি সংবাদ
মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন দেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি নাই, আমাদের রিজার্ভে পর্যাপ্ত চাল রয়েছে। খাদ্যের কোন ঘাটতি হবে না, তাহলে দেশে চালের দাম ঊর্ধ্বগতি কেন? কেনইবা দেশে চালের আমদানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল?
দেশে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে বেসরকারিভাবে আরও ৭৯ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ২৩টি প্রতিষ্ঠান অনুমতি পাচ্ছে বলে জানা যায়।
এ প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে নন বাসমতি সিদ্ধ চাল ৬১ হাজার টন এবং আতপ চাল ১৮ হাজার টন। চালে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙ্গা দানা থাকতে পারবে।
চাল আমদানি শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশের বাজারজাতকরণ করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ গুদামজাত ও বাজারজাত করার তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে।
বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনেকদিন ধরেই অস্থিতিশীল চালের বাজার। ভর বোরো মৌসুমেও চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। গরিবের মোটা চালের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। চিকন চালের কেজি ৬৫-৮০ টাকা।
আদৌ কি দেশে চালের ঘাটতি দেখা দিয়েছে? যদি তাই না হবে তাহলে এই চাল আমদানির অর্থ কি? আর আমদানিকৃত চাল দেশে এলে চালের বাজার মূল্য কমবে কিনা, এ প্রশ্ন এখন সকলের মনে।