atv sangbad

Blog Post

নওগাঁর রাণীনগরে সড়ক মেরামতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ!

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ  

দুর্নীতিবাজদের কাছে অনিয়ম-ই যেখানে নিয়ম, সেখানে নিয়মের নীতিগত আলোচনা করে লাভ কি? তবুও বলতে হবে দেশ ও জাতির স্বার্থে। নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের বটতলী থেকে হাসপাতাল রোড পর্যন্ত পাকা সড়ক মেরামতকাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। কয়েক দিন থেকে অনিয়মেই চলছে সড়ক মেরামতের কাজ।

স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন এক নম্বর ইটের খোয়ার সঙ্গে নিম্নমানের তিন নম্বর ইটের খোয়া মিশিয়ে সড়কে ফেলে রোলার করে মেরামতকাজ চালাচ্ছে। এমন অনিয়মে সড়কের মেরামতকাজ চলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় সচেতন মহল।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের বটতলী থেকে হাসপাতাল রোড পর্যন্ত ৬৬৫ মিটার পাকা সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় মানুষসহ সড়কে চলাচলকারীরা। জনগণকে এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে নওগাঁ এলজিইডি অফিস থেকে ৬৬৫ মিটার ওই সড়ক মেরামতের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়। তবে সড়কের মেরামতকাজের জন্য কত লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে সেই তথ্য উপজেলা এলজিইডি অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তা পাওয়া যায়নি। ওই সময় টেন্ডারে ইসরাক ইন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেরামতকাজটি পায়।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন আগে থেকে সড়কের মেরামতকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। ঠিকাদারের লোকজন পুরো সড়কে অধিকাংশ জায়গায় নিম্নমানের তিন নম্বর ইটের খোয়া দিয়েছে। আর মাঝে মাঝে এক নম্বর ইটের খোয়া দিয়ে সড়কে রোলার করছে।

স্থানীয়রা জানান, এভাবে নিম্নমানের খোয়া দিয়ে অনিয়ম করে কাজ চলতে থাকলে সড়ক বেশি দিন টেকসই হবে না। তাই দ্রুত নিম্নমানের খোয়া অপসারণ করে নিয়ম অনুযায়ী সড়ক মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার জনি বলেন, মেরামতকাজে সড়কে নিম্নমানের কোনো খোয়া ফেলা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। আর মেরামতকাজে কোনো অনিয়ম করা হচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইসমাইল হোসেন বলেন, সড়কে ফেলা নিম্নমানের খোয়া অপসারণ করার জন্য ঠিকাদারকে নোটিশ দিয়েছি। আর নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এর পরে তারা যদি খোয়া অপসারণ না করে ওই খোয়া দিয়েই কাজ করে থাকেন, তা হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইসমাইল হোসেনকে বলতে চাই, উল্লেখিত বিষয়ে সঠিক তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে জাতির কাছে আপনি হবেন প্রশ্নবিদ্ধ আর দেশ হবে ক্ষতিগ্রস্থ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :