ওবায়দুল কবির, এটিভি সংবাদ
টাঙ্গুয়ার হাওড় থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২৪ জনসহ ৩৪ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন। গ্রেফতার এই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের আনা নাশকতার পরিকল্পনা ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণের দাবি জানিয়েছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে বরাবরের মতো বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে দুটি বিষয় নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা সঠিকভাবে কী ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল, এ বিষয়ে আইনরক্ষাকারী সংস্থাকে পূর্ণ বিবৃতি দিতে হবে। পাশাপাশি তাদের নামের সঙ্গে শিবিরের সংযুক্তির পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ ছাত্রদের সামনে আনতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘বুয়েটে যেকোনো মৌলবাদ এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক অপশক্তির বিরুদ্ধে ১৯ ব্যাচ কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আমরা বুয়েটে এমন কোনো পরিবেশ চাই না, যাতে করে বর্তমানে বিরাজমান শান্তি ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেফতারের তালিকায় বুয়েটের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থী রয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে তারা যদি দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ১৯ ব্যাচের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এরআগে, বিকেলে বুয়েটের শহীদ মিনারে গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের স্বজন ও অভিভাবকরা সংবাদ সম্মেলন করেন। তাদের দাবি, গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা নিজেদের সন্তানদের নিরপরাধ দাবি করেন।
তাদের অভিযোগ, গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেসবের বিপরীতে প্রয়োজনীয় কোনো আলামত পুলিশের কাছে ছিল না। পরে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে সাজানো মামলায় শিক্ষার্থীদের ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকরা বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে যাওয়া আমাদের সন্তান, আপনজন বুয়েটের ২৪ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ৩৪ জন পর্যটককে পুলিশ আটক করে মামলা দায়ের করেছে। হঠাৎ এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সংবাদ আমাদেরকে মর্মাহত করেছে। আমাদের সন্তানদের অন্যায়ভাবে আটক করা এবং সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দিয়ে তাদের শিক্ষাজীবনকে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে আমরা গণমাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছি।
এটিভি/এস