সাতক্ষীরায় আশাশুনি উপজেলায় আয়েশা খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বৃদ্ধার ছেলে ও ছেলে বউকে আটক করা হয়েছে।
মৃত আয়েশা খাতুন একই এলাকার মৃত আক্কাছ মোল্যার স্ত্রী।
মৃত ওই বৃদ্ধার ভাবি রাশিদা খাতুন বলেন, স্বামী আক্কাছ মোল্যার মৃত্যুর পর থেকে আয়েশা খাতুন ছেলে ও পুত্রবধূর সংসারে বসবাস করতেন। খাওয়া দাওয়া নিয়ে প্রায়ই ছেলের বউ বকাঝকা ও মারধর করতো। বুধবার সকালে তার ছেলে রমজান ও বউমা মিনারা তাকে বকাঝকা ও মারধর করে। গোলযোগে এক পর্যায়ে তারা বালিশ চাপা বা শ্বাসরোধ করে হত্যার পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়।
এরপর তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে চিৎকার করতে থাকলে পার্শ্ববর্তী শিল্পী খাতুনসহ আরও অনেকে ঘটনাস্থলে এসে বটি দিয়ে ওড়না কেটে আয়েশাকে নামান। এরপর স্থানীয় এক চিকিৎসককে ডাকা হলে তিনি পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই ছেলে রমজান পালিয়ে গেলে রামনগর গ্রাম থেকে জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ সময় ছেলে রমজান ও বউমা মিনারা খাতুনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা জানান, আয়েশা খাতুনের ওপর ছেলে ও পুত্রবধূ প্রায় নির্যাতন করতেন। অনেকবার তাদের সাবধানও করা হয়েছে। এবার আয়েশা মৃতুবরণ করলেন। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে। ছেলে ও বউকে পুলিশ আটক করেছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। তবে শরীরে মারপিটের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় মৃত আয়েশার ভাই মোক্তাজুল বাদী হয়ে বোনকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ছেলে রমজান ও পুত্রবধূ মিনারা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।