atv sangbad

Blog Post

নিরাপদ পানি পেতে খরচ করা শতকোটি টাকাই জলে!

নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ:

বান্দরবানের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের কোটি কোটি টাকার প্রকল্প কাজ করতে পারে না কারণ ঝিরিঝরনার পানি শুকিয়ে যায় বলে ।বাসিন্দাদের অভিযোগ শুষ্ক মৌসুমের আগে তাদের পানির উৎসগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই এসব দুর্গম এলাকার বাসিন্দারা বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছেন।বাসিন্দারা মাটি খুঁড়ে একটু একটু করে পানি তোলার চেষ্টা করছেন।

বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ের বাসিন্দাদের পানির প্রধান উৎস হিসেবে পরিচিত নদীগুলো। প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা তাদের দৈনন্দিন জল এবং পানির চাহিদা মেটাতে এই স্রোতের জলের উপর নির্ভর করে। তবে শুষ্ক মৌসুমে নদী শুকিয়ে যায়, ফলে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়।

সদর উপজেলার সুয়ালেক, টঙ্কাবতী ও চিম্বুকসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন একই চিত্র।।কয়েক কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে এক কলসি পানির জন্য ।তবে এসব পাহাড়ি এলাকায় পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ বছরে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি শুকিয়ে গেলে এসব প্রকল্প অকেজো হয়ে পড়ে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঋণ ইস্যু করা এবং প্রকল্পের টাকা লোপাট নিয়ম না মানার কারণে প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। তাই শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার আগে প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিউবওয়েল এবং জিএফএস প্রকল্পগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে ঝিরিঝরনা পানি শুকিয়ে যায় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দেয়।

তবে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির উৎসগুলো কমে যাচ্ছে এবং বিশুদ্ধ পানির অভাব হচ্ছে। আমরা পানি সংকট নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি।

২০২০-২২ অর্থবছরে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভাগ এবং জেলা প্রকৌশল অধিদফতরের অর্থায়নে ৮৯ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এছাড়া পানি সংকট মোকাবেলায় বছরে ৮ থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :