নিজস্ব প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, হত্যাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নতির দিকে যাচ্ছে । আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সামনে আরো হবে। সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে বিএনপি-জামায়াত বিগত দিনে সবসময়ই চক্রান্ত করেছে এবং করবে। নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত না করে সঠিক ইতিহাস জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
রোববার (২০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পূর্বাপর : ন্যায় বিচারের স্বরূপ সন্ধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি তাদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত প্রতিফলন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা। বর্তমানে দেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বিবৃতি দিয়ে বসে থাকে। কিন্তু আমার প্রশ্ন- বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হলো তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? জাতীয় চার নেতাকে যখন হত্যা করা হলো তখন কোথায় ছিলেন?
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহম্মেদ বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলো বাংলাদেশকে নিয়ে এত মাথা ঘামাচ্ছে তাও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অবদান।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান বলেন, পাকিস্তান চিরকালই অস্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। ভারতেও রাজনৈতিক অবস্থা সংকটাপন্ন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব শিগগিরই বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিস্থাপনের দাবি জানান। সেইসাথে নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্বাপর জানানো এবং এ হত্যার প্রকৃত বিচারের জন্য একটি কমিশন গঠন করতে হবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আইন অনুষদের ডিন এস এম মাসুম বিল্লাহ্র প্রবন্ধ উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, বিভন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।