নোয়াখালী, এটিভি সংবাদ
নোয়াখালী সদর উপজেলার পশ্চিম চরউরিয়া গ্রামে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুন লেগে এবং বসতঘরের বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. নুরুল ইসলাম (৬৩) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ওই বৃদ্ধকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে, ছেলের বউ ও শাশুড়ি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অগ্নিদগ্ধ হন।
আহতরা- নিহতের ছেলে মো. সেলিম (৩৮) ও তার স্ত্রী মায়া বেগম (৩২) নিহতের বেয়াইন সেফালী বেগম (৫০)।
নুরুল ইসলাম উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামের মৃত হাবীব উল্যার ছেলে। তিনি স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন। এসময় শর্টসার্কিটের আগুন লেগে দুটি বসতঘর, একটি গোয়ালঘর ও দুটি রান্নাঘর, একটি গরু, চারটি ভেড়া, হাসমুরগি ও নগদ দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামের নুর ইসলামের বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ মো. সেলিমের স্ত্রী মায়া বেগম ও শাশুড়ি সেফালী বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো সাহরি শেষে নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যায় নুরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা। ভোর ৬টার দিকে আকস্মিক বৈদ্যুতিক মিটারে শর্টসার্কিটে বসতঘরে আগুন ধরে যায়। আগুন বসতঘরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে নুরুল ইসলামের শরীরে পড়লে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত হন। ওই সময় তার ছেলে সেলিম ও তার স্ত্রী মায়াম ছেলের শাশুড়ি সেফালী বেগম তাকে বাঁচাতে গেলে অগ্নিদগ্ধ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর ইসলামকে মৃত ঘোষণা করে। মায়া বেগম ও সেফালী বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদর উপজেলার সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. কবির হোসেন জানান, তাৎক্ষণিক কেউ আগুন লাগার খবর আমাদের জানাতে পারেনি। আগুন লাগে সাড়ে ৫টায়, খবর পাই ৬টা ৪৫ মিনিটে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুনে সব জ্বলে যায়।