নিজস্ব প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে ফকিরাপুলের দিক থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের একটি মিছিল বের হয়েছে। সন্ধ্যার পর জোনাকী সিনেমা হলের সামনে পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টেও মিছিল, স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে মিছিলসহকারে অবস্থান নেন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের একটি দল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। মিছিল দেখা গেছে ভূতের গলি, হাতিরপুল ও রাসেল স্কয়ারে। সন্ধ্যা থেকে এটি আরও বাড়বে বলে জানা গেছে।
এর আগে বুধবার বিকাল ৩টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল থেকেই নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সমাবেশের স্থান নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন এই সংঘর্ষ শুরু হলো। আজ সকাল থেকেই পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেননি। একপর্যায়ে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের জুয়েলকে আটক করেছে পুলিশ।