জালাল উদ্দিন চৌধুরী, এটিভি সংবাদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। ‘বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজামণ্ডপে হামলা নিয়ে মিথ্যা খবর প্রচারিত হয় এবং বাংলাদেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে’-এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে এ দাবি জানান তারা।
শনিবার (২ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংগঠনটি এই দাবি জানায়। সমাবেশে অংশ নেন বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ, যুব ঐক্য পরিষদ, ছাত্র ঐক্য পরিষদ, সনাতন সংগঠনসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠনের সদস্যরা।
সম্প্রতি নয়াদিল্লি সফরে গিয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। ওই মন্তব্যর প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে দেশের সব মানুষের অধিকার, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার ভাবছে তাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটের প্রয়োজন নেই।
সংগঠনটির আরেক সভাপতি নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, যে বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সে বাংলাদেশ আমরা পাইনি। নড়াইলে শিক্ষককে অপমান করা হয়েছে, শিক্ষককে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। এমন বাংলাদেশ কেউ চায় না। দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিচার করতে হবে।
নির্মল রোজারি নামে সংগঠনটির আরেক সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি অজ্ঞ, তা প্রকাশ করেছেন। আপনি দায়িত্বশীল বক্তব্য রাখবেন, দেশে সম্প্রীতি বিনষ্ট করবেন না। অদায়িত্বশীল বক্তব্য রাখলে দেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে।
সমাবেশে আগামী ১৬ জুলাই সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথের সঞ্চলনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মিলন কান্তি দত্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার সেন, তাপস কুমার পাল, রবীন্দ্রনাথ বসু, সাংগঠনিক সম্পাদক পদ্মাবতী দেবী ও সুখেন্দু বৈদ্য, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পাদিত্য বসু।