শিশু সন্তানের বাবা রনি সময় জানান, নিজে শহরে থাকলেও গ্রামে থাকতো তার পরিবার। ২০২১ সালে তার স্ত্রী মারজান আত্মহত্যা করেন। স্ত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় ৪ মাস ১৮ দিন কারাবন্দি ছিলেন তিনি। প্ররোচনায় সম্পৃক্ত না থাকায় তাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপরই সন্তানদের বরিশাল শহরে নিয়ে আসেন বাবা রনি। সন্তানদের শহরে নিয়ে আসার পর ৩ বছর বয়সী মরিয়ম আর ১৮ মাস বয়সী নূরকে এভাবেই জেলখানার তালাবদ্ধভাবে লালন পালন করছেন তিনি। জীবনে দ্বিতীয় বিয়ে করারও ইচ্ছা নেই তার।
অজানা ভয়ের আশঙ্কায় ঘরে তালাবদ্ধ করে সন্তানদের রেখে গেলেও রিকশা চালনার সময় সন্তানদের কথা ভেবে সারাক্ষণই আতঙ্কে থাকতে হয় তাকে। সকালের নাশতা খাওয়ানোর পরই শিশুদের তালাবদ্ধ করে বেরিয়ে যান কাজে। মাঝে দুপুরে এসে খাবার দিয়ে আবার রিকশা চালাতে ছোটেন তিনি। প্রতিবেশীরাও মাঝে মধ্যে জানালা দিয়ে খাবার কখনও পানি দেন। তবে এভাবে আর কত দিন?
ভিডিওটি সময়ের পর্দায় প্রকাশিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে সমাজ সেবা অধিদফতর। বরিশালের এ প্রতিষ্ঠানের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ জানান, শিশু সুরক্ষায় পাশে আছেন প্রতিষ্ঠানটি।
অসহায় শিশুদের পাশে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর বরাদ্দেরও। এরইমধ্যে বাবা রনি উপহার পেয়েছেন চার্জার রিকশা। এই মুহূর্তে দুই শিশু মরিয়ম ও নূরকে দেখভাল করছে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর পরিচালিত দিবাযত্ন কেন্দ্র।
এবার সেই দুই শিশুর পাশে দাঁড়াতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পরীমনি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এরইমধ্যে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। বাবা রনির সঙ্গে কথা বলে কীভাবে তাকে সাহায্য করা যায় বলে সিদ্ধান্ত নিবেন পরী। তবে দুই শিশু সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চাইছেন পরী। এতে করে নিজের ছেলে রাজ্যর সঙ্গে সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে মরিয়ম ও নূর। এমনটাই মনে করছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় এ নায়িকা।
এটিভি/এস