আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচি পাঁচটি মামলায় সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন। তবে আরও ১৪টি মামলা থাকায় এখনই মুক্তি মিলছেনা গৃহবন্দি থাকা এই রাজনীতিবিদের। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) লন্ডনভিত্তিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সুচির বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ। তন্মধ্যে পাঁচটি অপরাধের জন্য তাকে ক্ষমা করা হবে। ওই পাঁচ অপরাধের জন্য সু চিকে মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সু চি’র সাথে আরও ৭ হাজারেরও বেশি বন্দিকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সুচির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় সাজা ক্ষমা করা হলেও আরও ১৪টি মামলা থাকায় তাকে এখনই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ৭৮ বছর বয়সী সুচি কয়েক দশক সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর ১৯৮৯ সালে প্রথম গৃহবন্দি হন। গণতন্ত্রের জন্য ভূমিকা রাখায় ১৯৯১ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। কিন্তু এরপরও সু চি অন্তরীণ ছিলেন। তবে ২০১০ সালে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পান তিনি। এরপর ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তবে মাত্র ৬ বছরের মাথায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। এরপর থেকে কারাগারে বন্দি ছিলেন। তবে গত সপ্তাহে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।