মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
পিনাক-৬ ট্র্যাজেডির ৯ বছরেও শেষ হয়নি বিচার কাজ। অতিরিক্ত যাত্রীবহনে এই লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। অর্ধশতাধিক আজও নিখোঁজ। পদ্মায় তলিয়ে যাওয়া লঞ্চটি চিহ্নিত করাও যায়নি। আলোচিত এই মামলার বিলম্ব ও সাক্ষী হাজির করতে না পারায় ক্ষোভ স্বজনদের।
মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার কাছে ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট উত্তাল পদ্মায় ডুবে যায় অতিরিক্ত এমএল পিনাক-৬। ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। আজও নিখোঁজ রয়েছেন ৬৩ জন। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারেও চিহ্নিতই করা যায়নি লঞ্চ। এই নিয়ে লৌহজং থানায় মামলা হয়। তবে ৯ বছরেও বিচার সস্পন্ন করা যায়নি। এরই মধ্যে মারা গেছেন প্রধান আসামী লঞ্চটির মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক কালু।
মুন্সীগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি আব্দুল মতিন বলেন, সাক্ষী না আসায় আমরা মামলার কোনো কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারছি না। পুলিশ গিয়ে আসামিদের খুঁজে পায়না। বিষয়টি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। কেননা অন্যান্য মামলায় সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন।
দীর্ঘদিনেও বিচার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। কালকিনি উপজেলার পশ্চিম কমলাপুরের সবুজ কাজী বলেন, দুর্ঘটনায় পরিবারের চার সদস্যকে হারিয়েছি। মামলা হয়েছে, কিন্তু বিচারের কোন খবর নেই। জানিনা কবে মামলার রায় পাবো।
পদ্মা সেতু চালু পরই মাওয়া তথা শিমুলিয়া থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ। ৮৭ লঞ্চের ৮০টিই বিক্রি হয়ে গেছে। কিন্তু দক্ষিণের মানুষ পিনাকের ক্ষত ভুলতে পারেনি আজও।