পুরো দেশকে বিস্মিত করে সাফ চ্যাম্পিয়ন মেয়েদেরকে অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি কাজী সালাউদ্দিনের বাফুফে। কারণ হিসেবে তারা যেটা বলেছে, তা আরও বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে! টাকার অভাবে নাকি মেয়েদের বাছাই খেলতে পাঠানো যায়নি! দেশের জনগন এবং মিডিয়ার পাশাপাশি এই অজুহাত মানতে নারাজ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, বাফুফে ইচ্ছাকৃতভাবে মেয়েদের বাছাই খেলতে পাঠায়নি এবং এজন্য তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে।
আজ (৯ এপ্রিল) রবিবার সাংবাদিকদের জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। তাই এটা নিয়ে কথা বলতে পারিনি। আমি অবশ্য তাদের কাছে জানতে চাইব, কেন তারা এরকম কথা বললেন? দেশবাসী সবারই একটাই প্রশ্ন- অল্প কিছু টাকার জন্য কেন মেয়েদের দেশের বাইরে খেলতে যেতে পারবেন না! আমরা সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্যই তাদের পাশে থাকতাম, অনেক স্পন্সর প্রতিষ্ঠানও সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। অথচ কারও সঙ্গে কথা না বলে, কাউকে কিছু না জানিয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে!
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কেন তারা এই কাজটি করলেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমি সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করব, বিষয়টি খতিয়ে দেখার। কেন এরকম অন্যায় একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে মেয়েদের এতবড় একটা সুযোগ হাতছাড়া হতে দিলেন। এটা করে মেয়েদের তারা বঞ্চিত করলেন। আজকে ভারত কিন্তু কোয়ালিফাই করেছে। আমরা তো ভারতের চেয়ে ভালো দল ছিলাম। আমাদেরও একটা সম্ভাবনা ছিল। যারা এই সম্ভাবনাকে বিনষ্ট করল।
তিনি বলেন, আগামীকাল আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে অবহিত করব। আমার মনে হয় তারা ইচ্ছাকৃতভাবে দলটাকে পাঠায়নি। কেন তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কাজটি করে আমাদের ভাবমূর্তি সংকটে ফেললেন সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীদের খেলায় অনেক পৃষ্ঠপোষকতা করেন, সেটা ফুটবল হোক কিংবা ক্রিকেট। সেই নারীরা যখন অল্প কিছু টাকার জন্য খেলতে যেতে পারেনি, এটার পেছনে নিশ্চয় অন্য কিছু আছে। আমি অবশ্যই বিষয়টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অবহিত করব।