অনলাইন ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে। গত চার মাসের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয়বার ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলেন তিনি। এবার ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগে শুরু হয়েছে ফেডারেল তদন্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে গত ১ জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে ৪৫ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ। তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পরেও ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। নতুন অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারিত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, সরকারি কার্যক্রমে বাঁধার ষড়যন্ত্র এবং বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ।
আরও পড়ুন : ‘সম্পর্ক উন্নয়নে’ ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান শাহবাজ
অভিযোগপত্রে বলা হয়, পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও বিবাদী ক্ষমতায় থাকার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর নির্বাচনের পর দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ট্রাম্প মিথ্যা প্রচার করেছেন, নির্বাচনে ফলাফল জালিয়াতি হয়েছে এবং তিনিই আসলে জিতেছেন।
অভিযোগপত্রে ট্রাম্পের বাকস্বাধীনতার অধিকার নিশ্চিত করা হলেও এতে দাবি করা হয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৈধ ভোট কেড়ে নেওয়ার বেআইনি পন্থা অবলম্বন করেছেন।
ট্রাম্পকে ৩ আগস্ট ফেডারেল জেলা আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে। ছয়জন অজ্ঞাতনামা ‘সহ-ষড়যন্ত্রকারী’কেও অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ট্রাম্পের আইনি দলে কাজ করা রুডি জুলিয়ানি রয়েছেন।
আইনজীবী জ্যাক স্মিথ বলেন, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা একটি দ্রুত বিচার চাইব।