নিজস্ব প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু জানিয়েছেন, বহিষ্কাকৃতরা ক্ষমা চাইলেও তাদের নিয়ে আলোচনা করা হবে না। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কাকরাইল কার্যালয়ে কোনো টোকাই আসার চেষ্টা করলে নেতাকর্মীরা ব্যবস্থা নেবে। কেউ জোর করে কিছু করতে পারবে না। বহিষ্কারকৃতদের নিয়ে রওশন এরশাদ চাইলে বসুক, আমরা বসব না। এ সময় স্বার্থান্বেষী মহল রওশন এরশাদকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো মানসিক অবস্থা নেই। যদিও তিনি সম্মানীয়। স্বার্থান্বেষী মহল তাকে ব্যবহার করছে। ধূম্রজাল সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে কমিটি করা হচ্ছে। দলের নামে যারা কমিটি করছে তারা দলের কেউ না। যারা পদ রাখেন না তারাও কথা বলছেন। এটা ঠিক না। জাতীয় পার্টি এখন আর গৃহপালিত নয়। জাতীয় সংসদের আমরাই একমাত্র বিরোধী দল। সংসদে জাপার কতজন সেটা ব্যাপার নয়। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে আগামী দিনে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি ভূমিকা রাখবে।
এর আগে, ২৮ জানুয়ারি বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন রওশন এরশাদ। একই সঙ্গে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিয়ে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব দেন তিনি। রওশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তখন মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দলের গঠনতন্ত্রে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদকে এমন কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তাই রওশনের ঘোষণার কোনো ভিত্তি নেই। বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না জাতীয় পার্টি। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে যে দল আছে সেটিই জাতীয় পার্টি।