ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাতকে হত্যা বা আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বাবা স্কুল শিক্ষক খন্দকার নজরুল ইসলাম। শ্বশুরবাড়ির মানসিক অত্যাচারে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি তার। হত্যা বা আত্মহত্যার প্ররোচণা, যা-ই হোক মেয়ের মৃত্যুর বিচার দাবি করেছেন নজরুল ইসলাম।
নওরীন মৃত্যুর দিনে বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে নিয়ে বাবার কাছে অভিযোগও করেন তিনি।
লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে বুধবার বিকেলে টাঙ্গাইলের কালীহাতি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধার মরদেহ। এর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে সেখানে পৌঁছন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, নওরীনের সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
সেখানেই এসব অভিযোগ করেন নওরীনের বাবা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছি। ওকেই মা বলে ডাকতাম। আমি মা-মেয়ে দুজনকেই হারালাম। আমি আমার মেয়েকে রক্ষা করতে পারলাম না। কত আশা নিয়ে বিয়ে দিয়েছিলাম। মেহেদির রংও উঠল না। আমি এখন কিভাবে বাঁচব?’
এ বিষয়ে নিহত নওরীনের স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। শাশুড়ি শামসুন্নাহার বেগম বলেন, ‘কোনো ধরনের পারিবারিক কলহ ছিল না। ওই পরিবার থেকে এখন অনেক কথা বানিয়ে বলা হচ্ছে। তাদের মেয়ের মানসিক সমস্যা ছিল, সেটা আগে বলেনি। অনেক উচ্চ পাওয়ারের ওষুধ খেত, এগুলোর প্রেসক্রিপশন আমাদের কাছে আছে। আমার পরিবারে এমন কিছু ছিল না যার জন্য কলহ হবে। আর আমরা পড়াশোনা কেন বন্ধ করতে বলব? উল্টো নওরীনের মা নিজেই আমাকে ফোন দিয়ে বলত দ্রুত বাচ্চা নেওয়ার জন্য।’
নওরীনের মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু বলতে পারব না। আমার ছেলের অবস্থা মুমূর্ষু। আমি আর কোনো কথা বলব না।’ এই বলে ফোন কেটে দেন।
মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) বিকেলে সাভারের আশুলিয়ায় পলাশবাড়ী নামাবাজারের একটি ভাড়া বাসার ছয়তলা থেকে পড়ে নওরীনের মৃত্যু হয়। স্বামী ইব্রাহীম খলিলের সঙ্গে সেখানে থাকতেন নওরীন। মাত্র ১৮ দিন আগে তাদের বিয়ে হয়।
এটিভি/এস