আহসান হাবীব, এটিভি সংবাদ
ছয় তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধা (২৬) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার ইসলামবাগ গ্রামের খন্দকার নজরুল ইসলামের মেয়ে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে সাভারের আশুলিয়ার পলাশবাড়ী নামা বাজারের পাশে বিজয়নগর রোডে আব্দুর রহিমের মালিকানাধীন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক জি এম আসলামুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা আমাদেরকে মৃত্যুর সংবাদ জানালে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। দুই পরিবারের সদস্যরাই থানায় রয়েছে। তবে এ বিষয়ে তারা কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। ওই শিক্ষার্থীর অমতে বিয়ে কারণে পারিবারিক কলহ থেকে এমনটা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।’
নিহত নওরীন স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্বামী ইব্রাহিম খলিল চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার কলাকান্দা গ্রামের মৃত জহিরুল আলমের ছেলে। সে ভলভো ব্যাটারি কম্পানিতে কাজ করেন। গত ২১ জুলাই পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
বাড়ির ম্যানেজার ফারুক হোসেন বলেন, ইব্রাহিম খলিল আমাদের বাড়িতে ৬ মাস যাবৎ রয়েছে। শুনেছি গত জুলাই মাসের ২১ তারিখে বিয়ে হয়। এরপর ১৫ দিন হলো ইব্রাহিম তার স্ত্রী নওরিনকে নিয়ে আসেন। আজ বিকেলে হঠাৎ করে বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যায় নওরিন।
পরে খবর পেয়ে নুসরাতকে নিয়ে স্থানীয় হাবিব ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশকে জানানো হলে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়। এদিকে নওরীনের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ের পর সর্বশেষ কয়েকদিন স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। পারিবারিক কলহ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নওরীনের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সাহিদা আখতার বলেন, আমি মৃত্যুর বিষয়টি শোনার পর থেকে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার মতো মেধাবী মেয়ে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় দেশের জন্য একটি সম্পদ ছিল। আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আমি তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।