নিজস্ব প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
ছোট-বড় ৩৬টি রাজনৈতিক দল নিয়ে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি। বিএনপি এবং তার যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আলাদা আলাদা সমাবেশ থেকে যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, বুধবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে তারা। দলটির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকেও সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
রবিবার বিকালে সমাবেশ সফলে যৌথসভাও করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। অবশ্য শনিবার রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি দলটি। আগামীকাল সোমবার গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ সূত্র জানায়, যুগপৎ কর্মসূচিতে আন্দোলনের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেওয়া হবে। কর্মসূচির মধ্যে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, পদযাত্রা, লংমার্চ ও রোডমার্চ এবং সব শেষে ঢাকামুখী ‘চল চল ঢাকা চল’ কর্মসূচি থাকবে। নির্বাচন কমিশন, সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবন ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচির চিন্তাও দলের মধ্যে রয়েছে।
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে যারা আছেন তাদের সবার সঙ্গেই আমাদের মেটামুটি কথা বলা হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত আমাদের যা সিদ্ধান্ত, তা হলো ১৫ জুলাইর মধ্যে আমরা যুগপৎ চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এক দফার আন্দোলনে যাচ্ছি৷ এক দফার আন্দোলন মানে সরকারের পতনের আন্দোলন। সরকার পদত্যাগ করলে আমাদের অন্য দাবি এমনিতেই পূরণ হবে।
হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও ছাড়া আর কোনো কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মসূচি৷ এর বাইরে আরো নতুন কোনো কর্মসূচি আসবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের আগের সমাবেশের কর্মসূচির সময় দেখেছি আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দেয়৷ আমরা কর্মসূচির দিনও পরিবর্তন করে দেখেছি, তারাও পরিবর্তন করে৷ তারা তো বলেছে যে তারা পাহারা বসিয়েছে৷ আমরা এবারো শান্তিপূর্ণভাবেই কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করব৷ তবে সরকারের মনোভাবের ওপর নির্ভর করবে সেটা কেমন হয়।