নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ:
ভারতে টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই স্বত্ব রক্ষার জন্য আইনি লড়াই করতে‘মাসন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ নামে আইনজীবী ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
৬ মে সোমবার বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে শিল্প মন্ত্রণালয় লিখিতভাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়।
ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন।
সুপ্রিম কোর্ট গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সরকারকে বাংলাদেশে সমস্ত জিআই পণ্য তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দেয়। ১৯ মার্চের মধ্যে তালিকাটি আদালতে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়। একই সময়ে, জিআই পণ্যের তালিকা ও নিবন্ধন না করা কেন কর্তৃপক্ষের পক্ষে বেআইনি নয় এমন প্রশ্নের উত্তরে আদালত সিদ্ধান্ত নেয়। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
চার সপ্তাহের মধ্যেশিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।।
প্রসঙ্গত,টাঙ্গাইলের মেয়ে আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা,গত ১৮ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন যাতে এটি বাংলাদেশের সমস্ত জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি করতে বলে।
সম্প্রতি, প্রতিবেশী দেশ ভারত কয়েকশ বছরের পুরোনো টাঙ্গাইল শাড়িকেনিজেদের দাবি করে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আর ৮ ফেব্রুয়ারি, টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়।
ভারত যখন টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তখন তা অনেক বিতর্ক ও সমালোচনার জন্ম দেয়। সে সময় দেশি জিআই পণ্য তালিকার বিষয়টি উঠে আসে।