রংপুর প্রতিবেদক, এটিভি সংবাদ
রংপুর জিলা স্কুল মাঠে দলে দলে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে ঢাকঢোল পিটিয়ে রঙিন টিশার্ট ও মাথায় ক্যাপ পরে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
ভ্যাপসা গরম ও ঝিম ঝিম বৃষ্টি উপেক্ষা করে চাদর গায়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে এসেছেন ইউসুফ গাজী (৪৬)। এই গরমে গায়ে চাদর মোড়ানোর কারণ জানতে তার কাছাকাছি গিয়ে দেখা গেল, চাদরে পিন দিয়ে আটকানো শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা, শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের ছবি। আরও আছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা পেপার কাটিং। ইউসুফ গাজী এই চাদরের নাম দিয়েছেন, ‘ভালোবাসার চাদর’।
ইউসুফ গাজী বলেন, কয়েক দশক ধরে তিনি এসব পেপার কাটিং সংগ্রহ করছেন। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল ৭টায় নগরীর আশারাতপুরে নিজ বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে বের হইছি। রংপুর জিলা স্কুলে আসতে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় লেগেছে। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, তার মেয়ে শেখ হাসিনাকে একনজর দেখার জন্য এসেছি। আশা করি দেখা পাব। আমার রংপুরে আজকে প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পাব ভাবতেই অনেক খুশি লাগছে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রংপুর মহানগরী। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। নগরীর ২১টি পয়েন্টে করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। ১ হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবেশপথগুলোতে সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে জনসভায় আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
শেখ হাসিনা সবশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। তখন তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন। সাড়ে চার বছরের বেশি সময় পর তিনি আবারও রংপুরে এসেছেন। এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই রংপুর বিভাগ, রংপুর সিটি করপোরেশন ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠিত হয়।