atv sangbad

Blog Post

ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়ম, সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ চেয়ারম্যানের

ফরিদপুর প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ 

ফরিদপুরের নগরকান্দায় ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহকালে স্থানীয় তিন সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে উপজেলার কোদালিয়া-শহিদনগর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে কোদালিয়া-শহিদনগর ইউনিয়ন পরিষদে ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতে অনিয়মের মাধ্যমে ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রম চলছিল। খবর পেয়ে মাই টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম জনি, যুগান্তরের নগরকান্দা প্রতিনিধি মিজান বাবু ও সময়ের আলোর নগরকান্দা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান ওই ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। এ সময় সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাধা দিয়ে পরিষদ থেকে তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার জাকির হোসেন নিলু। অনিয়মের বিষয় তথ্য জানতে চাইলে অশোভন আচরণও করেন তিনি।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম জনি বলেন, প্রত্যেক উপকারভোগীকে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণের কথা থাকলেও ওই ইউনিয়ন পরিষদে ৮ থেকে ৯ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। বিষয়টি স্থানীয়রা আমাদের জানালে আমরা ওই ইউনিয়ন পরিষদে যাই। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান আমাদের দেখেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। আমাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। ভিডিও ধারণে বাধা দিয়ে পরিষদ থেকে আমাদের বের করে দেন।

তিনি আরও বলেন, চাল বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি চাল মাপার কোনো মেশিনও আমরা দেখিনি।

সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নগরকান্দা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মাহবুব আহাদ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার জাকির হোসেন নিলু সাংবাদিকবিদ্বেষী লোক। তিনি কখনো সাংবাদিকদের দেখতে পারেন না। সব সময় খারাপ আচরণ করার চেষ্টা করেন। আমি আজকের এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এ বিষয় কোদালিয়া-শহিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার জাকির হোসেন নিলু বলেন, একজন সাংবাদিক পরিচয় না দিয়ে ভিডিও করতে করতে পরিষদের গোডাউনে ঢুকতে গিয়েছিল। পরে আমি তাকে বাধা দিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দিয়েছি। আমি যদি জানতাম সে সাংবাদিক, তাহলে তাকে বাধা দিতাম না, বরং চাল পরিমাপ করে দেখিয়ে দিতাম।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফি বিন কবির বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ইউপি চেয়ারম্যানের খারাপ আচরণের একটি ভিডিও আমি দেখেছি। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়; যা খুবই দুঃখজনক। আমি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। চাল যদি কম বিতরণ করে থাকে, সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। যদি অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোদালিয়া-শহিদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার জাকির হোসেন নিলু সাংবাদিকদের সাথে যে আচরণ করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য বলে মন্তব্য করেন, এটিভি সংবাদ ডটকম’র সম্পাদক এস এম জামান।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্রেকিং নিউজ :