আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
৯০ দশকের পর থেকে ইরান-ইরাক যুদ্ধ, এরপর সিরিয়া-সোমালিয়ায় যুদ্ধ, লিবিয়া-ইরাক যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। এরপর শুরু হয় আরব বসন্ত। সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উপর দিয়ে বড় ধরণের বিপর্যয় গেছে। কিন্তু বর্তমানে হাওয়া বদলাতে শুরু করেছে। বলা যায় বদলে গেছে।
আরব দেশগুলো একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর করার জন্য কাজ করছে। বিশেষ করে ইরান-সৌদি আরব, সিরিয়ার সঙ্গে অন্য দেশ গুলো। কাতারের সঙ্গে মিশর, কুয়েত, আরব আমিরাত ও সৌদি আরব সম্পর্ক পূর্ণস্থাপন করেছে। এদিকে ইরানের সঙ্গেও সব রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক পূর্ণ স্থাপিত হচ্ছে। বলা যায় সব ভেদাভেদ ভুলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আবারও ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম দুই দেশ কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৯ জুন দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে দুই দেশ।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই উপসাগরীয় রাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সম্মত হওয়ার পর কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিজ নিজ দূতাবাস সোমবার পুনরায় চালু করেছে। খবর রয়টার্সের
কাতারে গেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে দেশটির রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন তিনি। মূলত, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান বিন জাসিম আল সানির আমন্ত্রণে মঙ্গলবার সকালে কাতারে যান ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা, সংসদের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির এক সদস্য এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি এ সফরে আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে সঙ্গ দিচ্ছেন। কাতার সফর শেষে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওমানের রাজধানী মাস্কাট যাবেন।
মঙ্গলবার ভোররাতে দোহারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তেহরান ত্যাগের প্রাক্কালে এক টুইটার বার্তায় আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ওমান ও কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার পাশাপাশি, ওই দুই দেশের সঙ্গে আগে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তিনি এ সফরে আলোচনা করবেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসির নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ও সহযোগিতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছে।
এর আগে কাতার সফর করেন ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মাদ রেজা ফারজিন। ফারজিন কাতারের সঙ্গে ইরানের ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে কাতারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তার ফিরে আসার এক সপ্তাহ পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কাতার সফরে গেলেন।
এটিভি/এসএমজেড