আহসান হাবীব, এটিভি সংবাদ
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে নগরের বিভিন্ন এলাকায় নয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। অভিযানকালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় বনগ্রাম রোডে অবস্থিত ওয়াসার পাম্প হাউজসহ মোট ১৪ স্থাপনাকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা অঞ্চল-৪ এর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম রোডে অভিযান চালান। সেখানে অবস্থিত ওয়াসার পাম্প হাউজে মশার লার্ভা পাওয়ায় পাম্প হাউজটির প্রতিনিধি মো. শামীম হোসেনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। এছাড়া করপোরেশনের আওতাধীন এলিফ্যান্ট রোড, খিলগাঁও, মালিবাগ, লালবাগ, মানিকনগর, উত্তর মান্ডা, ডগাইর ও উত্তর কুতুবখালী এলাকায় আরও ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী মঞ্জরুল হক ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় ৩০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এসময় দুটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন আদালত।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শাহনেওয়াজ এক নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও এলাকায় ৩৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। তবে এসময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি।
এছাড়া দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মালিবাগ এলাকায় ২০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। আদালত এসময় তিনটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাগ এলাকায় ৬২টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। আদালত এসময় চারটি বাসাবাড়িতে সামান্য পরিমাণে লার্ভা পাওয়ায় কোনো জরিমানা না করে সতর্ক করেন।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম এলাকায় ২৫টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এসময় ওয়াসার পাম্প হাউজসহ আরও একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পান এবং দুই মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকনগর এলাকায় ৩২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং চারটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪ মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মান্ডা এলাকায় ২৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডগাইর এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের যাত্রাবাড়ীর উত্তর কুতুবখালী এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩১৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এসময় ১৪টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৪ মামলায় সর্বমোট এক লাখ ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এটিভি/এস