আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মস্কোতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার কারণে মঙ্গলবার ভিনুকোভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়। এতে বিদেশ থেকে আসা বেশ কিছু বিমানকে অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়েছে।
আজ (৪ জুলাই) মঙ্গলবারের হামলায় পাঁচটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ভিনুকোভা বিমানবন্দর ছাড়াও মস্কোর আশপাশের আরো কয়েকটি অবকাঠামো এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
ভিনুকোভা বিমানবন্দর মস্কোর তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, সবগুলো ড্রোনই আকাশে ধ্বংস করা হয়েছে এবং কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইউক্রেন অবশ্য এখনো এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। ভিনুকোভা বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামার ওপর বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে।
তবে তার আগে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমানকে অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বলা হয়। এসব বিমানের মধ্যে তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর থেকে আসা বিমান ছিল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, মস্কো অঞ্চলে চারটি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়। অন্যটি ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় অকেজো করা হলে সেটি বিধ্বস্ত হয়।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক পোস্টে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা লিখেছেন, ‘এই হামলা কিয়েভের শাসকদের আরেকটি সন্ত্রাসী কাজ। কারণ তারা এমন জায়গা টার্গেট করেছে, যেটি বিমানবন্দরের মতো একটি বেসামরিক অবকাঠামো, যেখানে বিদেশি বিমান ওঠানামা করে।
রাশিয়ার সরকারি গণমাধ্যম বলছে, একটি ড্রোন বিধ্বস্ত হয় কুবিনকা শহরে, যেটি ভিনুকোভা বিমানবন্দর থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে। আরেকটি ড্রোন ভিনুকোভা বিমানবন্দরের কাছে ভালুয়েভা নামের একটি গ্রামে গুলি করে ধ্বংস করা হয়। বিবিসি নিরপেক্ষ সূত্র থেকে এসব খবর যাচাই করার চেষ্টা করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মস্কোতে ড্রোন হামলা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। মে মাসে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আটটি ড্রোনের কারণে অল্প ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেটাই ছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার রাজধানী লক্ষ্য করে প্রথম হামলা। তার আগে ক্রেমলিনের ওপর একটি ড্রোন হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে রাশিয়া।
তবে কিয়েভ ওই দুটি ঘটনারই দায় অস্বীকার করে। অন্যদিকে সোমবার ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সুমিতে রুশ ড্রোন হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিন হয়েছে। আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
এটিভি/জেড