কক্সবাজার প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে নির্মীয়মাণ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি আজ শনিবার পরীক্ষামূলক চালু হতে যাচ্ছে। এতে জাতীয় গ্রিডে প্রাথমিকভাবে ১২৫ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে। বয়লারটির পরীক্ষামূলক উৎপাদনের সফলতা পেলে বিদ্যুৎ সরবাহ নিয়মিত অব্যাহত থাকবে। তখন জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে ৬০০ মেগাওয়াট।
মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ারের নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার ইসলাম বলেন, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের দুটি ইউনিটের নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে। প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে আজ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২ টার দিকে।
দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ডিসেম্বর মাসে। সেটিতেও পরীক্ষামূলক উৎপাদনে ১২৫ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে এবং বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেলে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। পুরো প্রকল্প মিলে জাতীয় গ্রিডে যাবে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের মেগাপ্রকল্পগুলোর অন্যতম হচ্ছে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র। জাপানের উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) সহায়তার প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হচ্ছে। এ জন্য সরকার মহেশখালীর সাগরতীরের মাতারবাড়ীতে এক হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে প্রতিদিন ১০ হাজার টন ও প্রতিটি ইউনিটে পাঁচ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হবে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ টন কয়লা সংরক্ষণ করা হয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট ৬৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরো একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটি এলাকায় পৌঁছাবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, জাহাজ থেকে সরাসরি ট্যাংকে কয়লা আনলোড করার জন্য প্রকল্প এলাকায় দুটি জেটির পাশাপাশি ১.৭ মিলিয়ন টন স্টোরেজ ক্ষমতার চারটি ট্যাংক এরই মধ্যে নির্মিত হয়েছে। ট্যাংকগুলোর ৬০ দিনের জন্য কয়লা সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে। আর জাহাজ থেকে কয়লা আনলোড করতে দেড় থেকে দুই দিন সময় লাগবে। এ ক্ষেত্রে কয়লা খালাস করা পরিবেশবান্ধব হবে। কারণ কয়লা সরাসরি জেটি থেকে ট্যাংকে অফলোড করা হবে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।
এটিভি/এস