আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শেষে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে এই শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সেনা দিতে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কোকে প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র দেশটি। মার্কিন এই প্রস্তাবের পর গাজায় সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে এই তিন আরব দেশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনের বরাতে জানিয়েছে, মার্কিন প্রস্তাব বিবেচনা করলেও যুক্তরাষ্ট্রকে একটি শর্ত দিয়েছে দেশ তিনটি। তাদের কথা হলো গাজায় সেনা পাঠাতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠনের আগে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
গাজায় শান্তিরক্ষী পাঠাতে মিসর, আমিরাত ও মরক্কো ছাড়াও সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর দ্বারস্থও হয়েছিল আমেরিকা। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এসব দেশ। তবে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও যুদ্ধ পরবর্তী গাজায় এক ধরনের আন্তর্জাতিক বাহিনী থাকার বিষয়ে সায় দিয়েছে এসব আরব দেশ। তাদের যুক্তি হলো ছোট্ট এই উপত্যকায় এখন ইসরায়েলি সেনাদের জায়গা গ্রহণ করতে পারে এমন কোনো শক্তি নেই।নের এমন পরিকল্পনা চরম বিরোধী ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ ছাড়া নিজেরা এই পরিকল্পনা করলেও গাজায় মার্কিন সেনা পাঠাতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে একজন পশ্চিমা কর্মকর্তা বলেছেন, এই বিষয়ে ইসরায়েল কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না। আর আরব রাষ্ট্রগুলো চায় পশ্চিমারা যেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। তবে বাস্তবে পশ্চিমা খুব কম দেশই স্বীকৃতি দানের কাছাকাছি রয়েছে।
এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যুদ্ধোত্তর গাজা নিয়ে আলোচনার সময় পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটনের মিত্ররা।