নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
ঢাকা মহানগর এলাকায় গ্রেফতার চোরেরা জামিন পেলেও তাদের গতিবিধি নজরে রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, মহানগরীতে চুরির বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। গ্রেফতার চোরদের যেন জামিন না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা ও জামিন পেলেও তাদের গতিবিধি নজরে রাখতে হবে।
রোববার রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে এপ্রিল মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এমন নির্দেশ দেন। সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেসব এলাকায় চুরি হয় সে এলাকার নৈশপ্রহরীদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে নৈশপ্রহরী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারদেরও চুরি প্রতিরোধে সক্রিয় করা হবে। পাশাপাশি নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয়ে তাদেরকে সচেতন করা হবে। প্রত্যেকের জায়গা থেকে ছিনতাই প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেই যেন মামলা গ্রহণ করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সেদিকে প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জগণ লক্ষ্য রাখবেন। এখন রাজধানীর প্রায় সকল বাড়িতেই সিসি ক্যামেরা রয়েছে। চুরি প্রতিরোধে সিসি ক্যামেরা সচল আছে কিনা বা বাড়ির পেছনের দিকের লাইট ঠিক আছে কিনা সেগুলো খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সার্ভার ডাউন বা সার্ভার স্লো হওয়ার কারণে আমাদের ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবস্থা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সার্ভার জটিলতায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করতে আসা সাধারণ মানুষের যেন কোনো ভোগান্তি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সার্ভার থাকলে অনলাইনে জিডি হবে, না থাকলে ম্যানুয়ালি জিডি করে দিতে হবে।
হাবিবুর রহমান বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদের গরুর হাট নিয়ে আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি রাখতে হবে। নির্ধারিত জায়গার বাইরে রাস্তার পাশে যেন গরু না বসে তা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে আয়োজকদের সাথে বসতে হবে, তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে হবে যে, নির্ধারিত জায়গার এক ইঞ্চি বাইরেও যেন গরু না আসে। প্রয়োজনে হাটের জন্য নির্ধারিত এলাকা বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে। নিরাপত্তার জন্য গরুর হাটে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই প্রতিরোধেও যথাযথ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থাকতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মোবাইল ফোন সংক্রান্ত অপরাধ উপেক্ষা করা যাবে না। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিককে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি মোবাইল ফোন ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক করতে হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা এর সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।