জানা গেছে, ওই কিশোরীর নাম আকলিমা রিয়া। সে এবার রাজধানীর বনানীতে বিদ্যানিকেতন স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলো। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে রাগ করে চলে যায় রিয়া। সারাদিন কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি তার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাতে হাতিরঝিল পুলিশ প্লাজার পেছনে হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা হকার নোমানের ফোন থেকে মায়ের সাথে কথা বলে ওই কিশোরী। এসময় তাকে মোবাইলে চিৎকার করতে দেখা যায়। পরে কিশোরীর মা নোমানের নাম্বারে ফোন দিয়ে তাকে ধরে রাখার কথা বলে বাড়ি থেকে হাতিরঝিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এসময় রিয়া ব্রিজ থেকে ঝিলের পানিতে ঝাঁপ দেয়। তাকে বাঁচাতে হাওয়াইমিঠাই বিক্রেতা নোমানও পানিতে ঝাঁপ দেন। পরে নোমান জীবিত উঠে এলেও রিয়াকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশে এসে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের সহায়তার লাশ উদ্ধার করে। হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা নোমান জানান, ওই কিশোরীকে তিনি চেনেন না। বাসায় কথা বলার জন্য ফোন চেয়েছিল বলে তিনি দিয়েছিলেন। পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহের জেরে রিয়া আত্মহত্যা করতে পারে।
তবে কিশোরীর পরিবারের কেউ এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। মরদেহ রাত ১টার দিকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হকার নোমানসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত রিয়ার বাবা একজন গার্মেন্টস কর্মী। রাজধানীর ভাটারায় মা বাবার সঙ্গে বসবাস করতো সে।