নিউজ ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
চাকরি স্থায়ী করার দাবি ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন কর্মচারী নিয়োগের প্রতিবাদে আন্দোলনরত অস্থায়ী শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়েছে। এর ফরে চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বেলা ২টা ৫৫ মিনিটে একতা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। আন্দোলনকারীরা রেলপথ ছেড়ে রেলভবনে যাচ্ছেন।
এর আগে রোববার বেলা ১১টার দিকে কয়েকশ শ্রমিক ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকবৃন্দ’ ব্যানারে কারওরানবাজারে এফডিসি সংলগ্ন রেলগেইটে অবস্থান নেয়। এতে করে নারায়ণগঞ্জ বাদে সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া রেল শ্রমিক সাহাবুদ্দিন মুন্না গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের চাকরির বয়স ৬ বছর। এখনো স্থায়ী করা হয়নি। অথচ অস্থায়ী ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে নতুন করে কর্মচারী নিয়োগের ঘোষণায় আমরা এই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাহেদ আলী নামে আরেক শ্রমিক বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) সরদার শাহাদাত আলী সে সময় বলেন, মগবাজারে রেলওয়ের অস্থায়ী কর্মচারীরা অবস্থান নিয়েছেন। তাদের কিছু বেতন বাকি আছে। এছাড়া চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি আছে। এ কারণে তারা রেললাইনের ওপর বসে পড়েছে। ঢাকা থেকে ট্রেন যেতে পারছে না, আসতেও পারছে না।
এদিকে অবরোধের কারণে একতা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী কমিউটার, চট্টল এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে আটকা পড়ে। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন না ছাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
অবরোধ কখন উঠবে সেই নিশ্চয়তা না পাওয়ায় অনেকে যাত্রা বাতিল করে টিকেট ফেরত দেন স্টেশনে।
এটিভি/এস