ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
বেশ কিছুদিন রান পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশ দলের নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন সদ্য সমাপ্ত বিপিএল ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে আবারও চেনা রূপে ফিরলেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে পেলেন তিন অঙের দেখা। শান্তর প্রত্যাবর্তনের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ দশমিক ৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলংকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান এসেছে লিয়ানাগের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
জবাবে খেলতে নেমে ৪৪ ওভার ৪ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২২ রান করেছেন শান্ত। তাছাড়া অপরাজিত ৭৩ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে, দলের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। দিলশান মাদুশঙ্কার করা প্রথম ডেলিভারিতেই ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন লিটন। একই বোলারের বলে ৩ রানে আউট হন আরেক ওপেনার সৌম্য।
চারে নামা তাওহীদ হৃদয় আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। প্রমোদ মাদুশানের বলে মাত্র ৩ রানে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এমন সময় দলের হাল ধরেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চতুর্থ উইকেটে ৬৯ রান যোগ করেন শান্ত ও রিয়াদ। দুজনের ব্যাটে ম্যাচের আধিপত্য যখন নিজেদের দিকে নিচ্ছে বাংলাদেশ, এমন সময় ৩৭ রানে আউট হন রিয়াদ। শান্তর সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের দৃড়তায় জয়ের দিকে এগিয়ে যায় দল। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লংকান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস। উদ্বোধনী জুটিতে ৭১ রান যোগ করেন পাথুম নিশাঙ্কা ও আভিষ্কা ফার্নান্দো। এরপরই দৃশ্যপটে তানজিম হাসান সাকিব। টানা তিন ওভারে ৩ উইকেট নেন তিনি।
প্রথমে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে আউট হন আভিষ্কা। তার সঙ্গী নিশাঙ্কা করেন ৩৬ রান। ৩ রানে সাদিরা সামারাবিক্রমা ফিরলে বিপদের শঙ্কায় পড়ে লংকানরা। এ অবস্থায় চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আসালঙ্কা। এই দুজনের ৪৪ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী মিরাজ। তার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৮ রান করেন আসালঙ্কা। দলের বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরেন অধিনায়ক মেন্ডিস। পঞ্চম উইকেটে জানিথ লিয়ানাগের সঙ্গে ৬৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি।
আউট হওয়ার আগে ৫৯ রান করেন মেন্ডিস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন লিয়ানাগে। শেষদিকে আর কেউ বলার মতো রান পাননি। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন, শরিফুল ও সাকিব ৩টি করে উইকেট নেন।