গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে অনশনরত ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আট জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তারা গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শিক্ষার্থীরা জানান, সারা রাত অনশন করায় সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে শুরু করেন এবং দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৮ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে শিক্ষক সংকট নিরসণের দাবিতে বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে উপাচার্যর বাসভবন, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে উপাচার্যর বাসভবনের সামনে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্যের আশ্বাস অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরাসরি শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ না করা হলেও বৃহস্পতিবার গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান সাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে অনিবার্য কারণবশত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে। তবে প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সাথে একত্রে আন্দোলন করার যে কথা দিয়েছিলেন তার অংশ হিসেবেই মূলত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষকের জন্য আবেদন করেছে। ২-৪ দিনের মধ্যেই তাদের শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সমস্যা হলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম-নীতির অভাব রয়েছে। সাধারণত ২০-২৫% শতাংশ শিক্ষকদের শিক্ষাছুটি দেওয়া হয়, কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা গেছে এক বিভাগে শিক্ষক ৬ জন তারা ৪ জনকেই শিক্ষাছুটি দিয়েছে। এ কারণে এখানে বাড়তি সংকট তৈরি হয়েছে।