আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এটিভি সংবাদ
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় ও প্রবন্ধে বারবার উঠে আসছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কথা। বলা হচ্ছে, এই মূহুর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক হচ্ছেন শেখ হাসিনা। দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের চার চারবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। ২০০৯ সাল থেকে টানা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বেই তৃতীয় বিশ্বের একটি অনুন্নত দেশ থেকে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের কাজ করায় সম্প্রতি বিভিন্ন ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান।
সম্প্রতি শেখ হাসিনাকে নিজের ‘অনুপ্রেরণা’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে মন্তব্য করছেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রশংসা করেছেন বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশের প্রধানরা।
তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এক জরিপেও শেখ হাসিনার ব্যাপক জনপ্রিয়তার কথা উঠে এসেছে।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) প্রকাশিত আইআরআই’র জরিপে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত তার জনপ্রিয়তা ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৭০ জনই শেখ হাসিনার সমর্থক।
আইআরআই’র বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিস (ইউএসআইপি)। বুধবার (৯ আগস্ট) প্রকাশিত এক দীর্ঘ প্রবন্ধে ইউএসআইপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জনসমর্থন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মূলত দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমানের উন্নতির লক্ষ্যে তার সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের মানুষ।
মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রবন্ধে আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষই বলছেন, শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। নিরাপদ পানি সরবরাহ থেকে শুরু করে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার মতো জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন খাতে সরকারের পারফরম্যান্সে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বেশিরভাগ মানুষ।
যেমনটা উঠে এসেছে আইআরআই’র জরিপে খুলনা থেকে অংশ নেয়া এক নারীর কথায়। তিনি বলেছেন, ‘উন্নয়নের কথা বলতে গেলে, (শেখ হাসিনা) অনেক কিছুই করেছেন। যেমন রাস্তাঘাট, পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল।’ প্রকৃতপক্ষে যথার্থই বলেছেন ওই নারী। শেখ হাসিনার আমলে অবকাঠামো খাতে রীতিমতো বিপ্লব সাধিত হয়েছে।
ইতিবাচক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সূচক
আইআরআই’র জরিপে বলা হয়েছে, উত্তরদাতারা উন্নত রাস্তাঘাট, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও নারীর ক্ষমতায়নের মতো বেশ কিছু অর্থনৈতিক সূচকের ব্যাপারে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। জরিপ অনুসারে, দেশের ৮৭ শতাংশ সড়ক, মহাসড়ক ও সেতুর উন্নয়ন হয়েছে শেখ হাসিনার আমলেই।
অন্যদিকে দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে। দেশের ৮৪ শতাংশ মানুষ সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ পাচ্ছে। এ ছাড়া ৭৭% নাগরিক মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে এসব সম্ভব হয়েছে বলেও জরিপে উঠে এসেছে।
শিক্ষাখাতে ৮১ শতাংশ উন্নয়ন হয়েছে বলেও উঠে এসেছে জরিপে। সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে সহিংস চরমপন্থা ও মৌলবাদ হ্রাস পেয়েছে। দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়েছে বলেও মনে করেন জরিপে অংশগ্রহণকারীরা। গত কয়েক বছরে দেশে গুম-প্রতিরোধ হয়েছে বলে মনে করেন ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা। তারা বলেছেন, গত কয়েক বছরে গুম ও খুনের ঘটনাও কমেছে।
শুধু মার্কিন প্রতিষ্ঠানই নয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিবিদ ও সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মুখে প্রায়ই বাংলাদেশের উন্নয়নের জয়গান শোনা যায়। বিশ্বের নীতিনির্ধারণী আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তকমা ঘুচিয়ে উন্নয়নশীল দেশ।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) মানদণ্ড অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে হলে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১ হাজার ২৩০ ডলার। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৮২৪ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ পয়েন্ট দরকার হলেও বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৭২.৯। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক হতে হয় ৩২ শতাংশ বা এর কম, সেখানে বাংলাদেশের রয়েছে ২৪.৮ শতাংশ।
উন্নয়ন পরিক্রমা বিবেচনায় স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের এই অর্থনৈতিক শক্তি বিশ্বের খুব কম দেশেরই রয়েছে। বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের স্বীকৃতি এসেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের সবশেষ প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল- ২০২২’ প্রতিবেদন থেকেও।
এই প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বাংলাদেশকে ২০২০ সালের সূচকে বিশ্বের ১৯৬টি দেশের মধ্যে ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যদ্বাণী করে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১৫ বছর পর অর্থাৎ ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
স্বাধীনতা অর্জনের পর গত পাঁচ দশকের শেষ দুই দশকে প্রায় প্রতি বছর আগের বছরের তুলনায় জিডিপি বেড়েছে গড়ে এক শতাংশ হারে। এটা বিশ্বে অনন্য নজির। এছাড়া স্বাধীনতার প্রথম তিন দশকেও প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ছিল। ওই সময় প্রতি দশকে গড়ে এক শতাংশের অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি যোগ হয়েছে। উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মানুষের বর্তমান মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা স্বাধীনতার পর ৭০ দশকে ছিল ৫০ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত মানব উন্নয়ন সমীক্ষা ২০২০-এ বলা হয়, মানব উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জন অসাধারণ। ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মানব উন্নয়ন সূচক শতকরা ৬০ দশমিক ৪ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের অগ্রগতির নজির বিশ্বে কমই আছে।
সম্প্রতি বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ বলেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হতে যাচ্ছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক ম্যাগাজিন ফরেন পলিসি (১০ এপ্রিল, ২০২১) শিরোনাম লিখেছে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশের উদীয়মান তারকা হওয়ার দীর্ঘ অভিযাত্রা।’
৫০ বছরে সব বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ শেষ হাসি দিয়েছে। ম্যাগাজিনটি প্রেক্ষাপট বোঝাতে পুরনো ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান রমরমা আর্থ-সামাজিক অবস্থার জন্য শেখ হাসিনাকে কৃতিত্ব দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল
প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে গত এক যুগে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠেছে। যার স্বীকৃতি বিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকে এসেছে। সবশেষ এমন প্রশংসা শোনা গেল বিশ্বব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তার মুখে। বৈশ্বিক ঋণদান সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক পরমেশ্বরন আইয়ার বলেছেন, শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে কার্যকর সব পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো বাংলাদেশের এই উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করতে পারে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বই বাংলাদেশের এই অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর ভর করে বাংলাদেশের অর্থনীতি গত ৫০ বছর ২৭১ গুণ হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত ২০ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৫০০ শতাংশ। এমনকি মহামন্দাকালেও বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোকেও টেক্কা দিয়েছে।
সম্প্রতি নিউইয়র্কভিত্তিক ম্যাগাজিন নিউজউইক বাংলাদেশকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে একটি হলো ‘অদম্য বাংলাদেশ’ শিরোনামে। তাতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দ্রুত রূপান্তর ঘটেছে এবং আগামী অর্ধশতাব্দীর মধ্যে বাংলাদেশের শুধু আঞ্চলিক নয়, বরং বৈশ্বিক ‘পাওয়ার হাউস’ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শ্রীলঙ্কার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি নিউজ ‘শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান : বাংলাদেশ মডেল থেকে শিক্ষা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলেছে, অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মডেল থেকে শিক্ষা নিতে পারে। গত বছরের এপ্রিলে প্রকাশিক ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শ্রীলঙ্কা যখন অর্থনৈতিক মন্দার দিকে ধাবিত হচ্ছে তখন দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক ‘মিরাকল’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে ২০৭৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৬তম শীর্ষ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। আরও বলা হয়েছে, তখন (২০৭৫ সালে) বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার হবে ৬ দশমিক ৩ লাখ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৮৬ দশমিক ৭ লাখ কোটি টাকার সমান।
দৃষ্টি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে
কার্যত সবার নজর এখন বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে। যা চলতি বছরের শেষ কিংবা আগামী বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি ক্ষমতায় ফিরতে জোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। ফলে ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি। নির্বাচনে অংশগ্রহণের বদলে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে দলটি। কয়েক ডজন নিরীহ মানুষ নিহত হয়। আহত হয় অসংখ্য।
চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করে। এছাড়া গত মাসে কানাডার একটি আদালত পঞ্চমবারের মতো বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বিএনপি জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলের হুমকি দিচ্ছে। যা সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার দেশ-বিদেশের সবাইকে আশ্বস্ত করে আসছেন যে, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হবে। চাইলে বিদেশিরা নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে তার প্রতিশ্রুতির প্রতি সমর্থন জানাই।’
এটিভি/এস