ক্রীড়া ডেস্ক, এটিভি সংবাদ :
সাকিবকে নিয়ে বীরেন্দর শেবাগের করা শিষ্ঠাচার বহির্ভূত মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। নিজের ক্যারিয়ারে সম্মান না পাওয়ায় শেবাগ অন্যদের প্রাপ্য সম্মান দিতে শেখেননি বলে মন্তব্য এই বাঁহাতি ওপেনারের।
বার বার আশাহত হতে হয়; প্রত্যাশা আর বাস্তবতার অবস্থান থাকে ভিন্ন মেরুতে; তারপরও বিশ্বকাপ এলেই টাইগারদের নিয়ে স্বপ্ন বোনে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার সাহস যুগিয়েছে যে পাঞ্চপন্ডব এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলছে তাদের দুইজন। লাইফ লাইন নিয়ে দলে সুযোগ পাওয়া মাহমুদউল্লাহ হয়ে উঠেছেন দলের ত্রাতা। তবে সক্ষমতার বিচারে দেশের ইতিহাস সেরা ক্রিকেটার সাকিবের ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতা চিন্তায় ফেলেছে সমর্থকদের।
ভক্তদের জন্য আরও একটা খারাপ খবর। এতো বছর ধরে দখল করে থাকা আইসিসি’র অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ের মসনদটাও হারিয়েছেন সাকিব। নতুন প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে পঞ্চম স্থানে নেমে গেছেন তিনি। তালিকায় তার ওপরে আছে মোহাম্মদ নবি, স্টয়নিস, হাসারাঙ্গা।
এমন অফফর্মে থেকেও বিশ্বকাপে তার খেলা নিয়ে সম্প্রতি খুব বাজে মন্তব্য করেছেন সাবেক ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ। সাকিবের লজ্জা আছে কিনা তুলেছেন এমন প্রশ্ন। এই ভারতীয়ের মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন দীর্ঘদিন টাইগার স্কোয়াডের বাইরে থাকা ইমরুল কায়েস।
শেবাগের করা আপত্তিকর মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে একটি গণমাধ্যমকে ইমরুল বলেন, ‘সাকিব কিন্তু একদিন বা দুইদিনে ‘সাকিব আল হাসান’ হয় নাই। আইসিসি’র নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার। তিন ফরম্যাটে যদি দেখেন সে কিন্তু একদিন ছিলো না, লং টাইম ধরে ছিল। এই ধরণের প্লেয়ারকে নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে রেসপেক্ট দিয়ে কথা বলা উচিৎ। যেটা বীরেন্দর শেবাগ তার ক্যারিয়ারে পায়নি, তাই সে অন্যদের রেসপেক্ট দিতেও জানেনা।
শেবাগের এমন কটাক্ষ এই প্রথম নয়। বাংলাদেশের ক্রিকেট আর ক্রিকেটারদের নিয়ে বিভিন্ন সময়েই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে দেখা গেছে ভারতের এই ক্রিকেট কিংবদন্তিকে। ইমরুল বলেন, ‘শেবাগ তার পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই এভাবে মন্তব্য করেছেন। আমাদের দেশ নিয়েও একসময় মন্তব্য করেছে যে, আমাদের দেশে খেলার পরিবেশও নেই। এটাও মন্তব্য করেছিল যে, টেস্টে ২০ উইকেট নেয়ার মতো অ্যাবিলিটি নাই। আমি জানি না ওনার মতো একজন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কি চিন্তা করে এভাবে কথা বলে! রাহুল দ্রাবিড় বা শচীনের মতো বড়ো প্লেয়াররা অন্য কোনো প্লেয়ারকে নিয়ে মন্তব্য করে না। কারণ তারা প্লেয়ারকে রেসপেক্টটা দেয়।
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচে সাকিব মোটে ১১ রান করেছেন। ৪ ওভার বল করে ৩৬ রান দিলেও পাননি কোনো উইকেট।