মো. শামছুল হক, শেরপুর প্রতিনিধি, এটিভি সংবাদ
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পাহাড়ি ঢল থেকে ফসল রক্ষার জন্য শেরপুরের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে আগাম বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন কৃষকরা।
ইতি মধ্যেই ধান কাটা শুরু হয়েছে। শ্রমিক সংকট দূর করতে যান্ত্রিক উপায়ে ধান কাটার উপর জোর দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ।
তবে পাহাড়ি এলাকায় এখনো ৮০ শতাংশ জমির ফসল আধাপাকা থাকায় পাহাড়ি ঢল নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। এতে তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করেই সোনালি ফসল ঘরে তোলার জন্য হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছেন তারা।
কৃষি বিভাগের মতে চলতি মৌসুমে জেলায় ৯১ হাজার ৮৮৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা করা হয়েছে।
পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষকরা জানান, পাহাড়ি ঢলের পানির ভয়ে আমরা আগাম জাতের ধান রোপন করেছি। হালকা বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি ঢলের পানিতে আবাদ ঢুবে যায়। এবার পাহাড়ি ঢল না আসায় নিরাপদে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে।
এদিকে আগাম জাতের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। কৃষকদের দাবি ধানের দাম একটু বাড়িয়ে দিলে তাদের কিছুটা লাভ থাকবে। তা নাহলে লোকশান হবে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা গুলোতে প্রতিবছর পাহাড়ি ঢলের পানিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় কৃষকদের। এ বছর আগাম জাতের ধান লাগানোর কারণে ঘরে তুলতে পারছেন সোনালি ফসল। এদিকে শ্রমিক সংকট দূর করতে যান্ত্রিক হারভেস্টিং মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা হচ্ছে।