সৈকত মনি, এটিভি সংবাদ
বাঙালির শোকের দিনে নানা বয়সী ও নানা শ্রেণি–পেশার মানুষের ঢল নেমেছে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। সকাল থেকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁরা জমায়েত হচ্ছেন এখানে।
কাজী মুহাম্মদ জহিরুল কাইয়ুম সঙ্গে পাঁচ বছরের ভাতিজিকে নিয়ে এসেছেন। তিনি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। কাজী মুহাম্মদ জহিরুল কাইয়ুম জানান, তিনি আশির দশক থেকেই সব ধরনের জাতীয় দিবস পালন করেন। এবার ভাতিজিকে নিয়ে এসেছেন বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানবে, দেখবে ও শিখবে বলে।
আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করেন ঘাতকেরা।
আজ ভোরে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পর সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে ৩২ নম্বরমুখী হতে থাকেন। বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠনের ব্যানারে মানুষ আসছে।
ঢাকা পাবলিক কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিকিতাও এসেছে স্কুলের পক্ষ থেকে। সঙ্গে বন্ধুরাও আছে। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানলেও এই প্রথম সে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে।
শ্রদ্ধা জানাতে আসা প্রায় সবার বুকেই রয়েছে শোকের কালো ব্যাজ। ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা ঘুরে ঘুরে এই ব্যাজ বিক্রি করছেন। এ ছাড়া কেউ কেউ ছোট টেবিল পেতেও বসেছেন। এমনই একজন ফজলুল হক। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাঁর দোকান রয়েছে। প্রতিবছর শোক দিবসে তিনি ধানমন্ডিতে চলে আসেন। তবে জানালেন, ৩২ নম্বর জাদুঘরে কখনো যাওয়া হয়নি।
মোহাম্মদপুর থেকে এসেছেন রোকসানা বেগম। নিজেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী বলে পরিচয় দেন। প্রতিবেশী কয়েকজন দলীয় সমর্থক নিয়ে তিনি এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। রোকসানা বলেন, বিয়ের পর তিনি রাজনীতিতে জড়ান। এর পর থেকে তিনি নিয়মিতই জাতীয় দিবসসহ দলীয় আয়োজনে অংশ নেন।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়ার সড়কগুলোয় পুলিশ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে। সড়কের বিভিন্ন দিকে প্যান্ডেল বানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণসহ গান বাজছে।
এটিভি/এস